অনেক ঝড় ঝঞ্ঝা সামলে অবশেষে ভালোয় ভালোয় মিটেছিল ইরা আর আকাশের বিয়েটা। এই বিয়েতে কেউ খুশি কেউ আবার খুশি নয়। এই যেমন আকাশের সৎ মা মোনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না ইরাকে। কারণ সে এই কদিনের মধ্যে বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছে যে ইরা তার বুদ্ধিমত্তার জোরে আকাশকে সব বিপদ থেকে বারবার উদ্ধার করবে। আর সেটা ইরা করছেও।
আকাশের কাছ থেকে সব সম্পত্তির দখল নিজের ছেলেমেয়েদের নামে করিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মোনা। আর এই কাজের মাঝখানে প্রাচীর তুলে দাঁড়াতে পারে ইরা, মোনা সেটা বেশ ভালোই বুঝে গিয়েছে। তাই ইরাকে যে ভাবেই হোক আকাশের জীবন থেকে সরিয়ে ফেলতেই হবে বলে মনস্থির করেছে সে। তাই সে একের পর এক ফন্দি এঁটে চলেছে। কিন্তু কিছুতেই আর জব্দ করতে পারছে না ইরাকে। মোনার সব প্ল্যানেই জল ঢেলে দিচ্ছে ইরা।
এবার মোনার অন্য চাল। সে পড়েছে ইরার দাদা শতদ্রুর পিছনে। তাকে চোরের বদনাম দেয় মোনা। আর তা বিশ্বাস করে আকাশ। ইরার কোনও কথাই সে আর শুনছে না। ইরাকে সে বিশ্বাসও করছে না। আকাশের বক্তব্য, শতদ্রু তার নিজের দাদা বলে সে তার অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ইরাও আকাশের এই অন্ধ হয়ে থাকাটাকে মেনে নিতে পারছে না। ফলে, দুজনেই রেগে আছে দুজনের উপরে। এই নিয়ে ধারাবাহিকে চলছে এখন জোর তর্জমা।
প্রসঙ্গত, আকাশ আর ইরা অর্থাৎ সৈয়দ আরেফিন এবং মনামীর কেমিস্ট্রি বেশ ভালোই জমে উঠেছে এই ধারাবাহিকে। মনামী ইন্ডাস্ট্রির বহু পুরনো মুখ। সৈয়দ আরেফিন কিন্তু তা নয়। এর আগে 'রাশি' ধারাবাহিকে কয়েকদিনের জন্য দেব চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর তার পরেই কেন্দ্রিয় পুরুষ চরিত্রে বেশ ভালোই নজর কেড়েছে তিনি সকলের। ভারভাত্বিক ইমেজে আকাশ চ্যাটার্জিতে মজেছে আজকের টেলিপ্রেমী দর্শক। জমে উঠছে মনামী-আরেফিন কেমিস্ট্রি!
'ইরাবতীর চুপকথা' দেখতে ভুলবেন না সন্ধে ৭ টায়, স্টার জলসায়।