পর্যটন খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ

বাংলার পর্যটনকে নতুন রূপ দিতে, বর্তমানে বেসরকারী বিনিয়োগের ওপর যথেষ্ট জোর দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পর্যটন পরিকাঠামোকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে, বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা যথেষ্ট উদ্যোগী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পর্যটন দপ্তরের সচিব অত্রি ভটাচার্য। বিভিন্ন উদ্যোক্তারা আগামী ৫ বছরের মধ্যে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা অনুদান করতে চলেছেন

        এছাড়া হাল আমলে রাজ্যে পর্যটকের সংখ্যাও বিপুল পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে২০০১-২০১৭ সাল পর্যন্ত সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫.২ মিলিয়ন থেকে ৮১.২ মিলিয়ন। সুতরাং বার্ষিক বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮.৭৪%। একইসময়ে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ২.৮ লক্ষ থেকে ১৫.৭ লক্ষ। পর্যটকদের আসার বিচারে বাংলা রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। পর্যটন দপ্তর বাংলায় আরো আটটি  ইকো -ট্যুরিজম অঞ্চলকে চিহ্নিত করেছে। বর্তমানে রাজ্য সরকার পিপিপি মোডে 'ভোরের আলো'  প্রকল্পের উপর বেশি করে জোর দিচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজ, বৈকুন্ঠপুর ফরেস্ট এর মাঝে ২০৮ একর জমিতে এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝাড়খালি হেরোডেঙ্গা নদীর তীরে ৯৯ একর জমিতে ইকো -ট্যুরিজম গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার ।

   পর্যটনের নানা ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার কর্মসংস্থান যাতে হয়, সেই ব্যাপারে ভাবা হচ্ছে। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে পর্যটনের বৃদ্ধি বাড়াতে 'হুররে'  নামের একটি অ্যপ খোলা হয়েছে। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থানের সাথে বিনিয়োগের একটি পরিসংখ্যান চিহ্নিত করা হয়েছে। সামাজিক কাজের জন্য ১,৫০০ কোটি টাকা এবং স্বাস্থ্যখাতে দুর্গাপুর,  শিলিগুড়ি কলকাতায় প্রায় ৭৫০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও শান্তিনিকেতন,  বিষ্ণুপুর,   দার্জিলিং-কালিমপং -এ প্রায় ৭০০ কোটি টাকা,  ইকো -ট্যুরিজমের জন্য ১২৫০ কোটি বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...