আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবসে বাঘ সুমারির ফল ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সুমারি প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এও জানালেন, পৃথিবীর মধ্যে বাঘেদের জন্য এখন অন্যতম নিরাপদ স্থান হল ভারত।বর্তমানে ভারতে ২,৯৬৭ টি বাঘ রয়েছে। তিনি আরো জানান, ২০১৪ থেকে ২০১৮-র মধ্যে দেশে বাঘের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সুন্দরবনের মৎসজীবীরা বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির রিপোর্ট আগেই দিয়েছিলেন। গত কয়েকবছরে বহুবার সেখানে বাঘের দেখা মিলেছে। তাই স্থানীয় অধিবাসীরা বুঝে গিয়েছিল বাঘেদের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটেছে।
২০১৪ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল ১৪০০। ২০২২-এর মধ্যে সংখ্যা দ্বিগুণ করার কথা ছিল। চার বছরের মধ্যেই এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় এদিন যথেষ্ট খুশি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বাঘ সংরক্ষণে সরকার সমস্ত রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলেও জানান তিনি। জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের সমীক্ষা বলছে, ব্যাঘ্র প্রকল্পগুলি বিভিন্ন রাজ্যে যথেষ্ট ফলপ্রসূ হয়েছে। ২০১১ সালে মানস জাতীয় উদ্যান এবং ভুটানের রয়্যাল মানস জাতীয় উদ্যানে প্রথমববার ক্যামেরায় বাঘের ছবি তোলার ব্যবস্থা করা হয়। সেবার ১৪টি বাঘের ছবি পাওয়া গিয়েছিল। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড এবং ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ২০১৪ সালের সুমারির পর জানিয়েছিল, সুন্দরবনে অন্তত ১০১টি বাঘ রয়েছে। যদিও ২০১৪ সালের আগে বনদফতর দাবি করেছিল, সুন্দরবনে ২৭৪টি বাঘ রয়েছে। এরপর ২০১৮ সালে ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বাঘ সুমারির কাজ শুরু হয়। বাঘের পায়ের ছাপ, রেডিও কলার লাগিয়ে অথবা জঙ্গলে ক্যামেরা ট্র্যাকিং করে আগে বাঘের গণনা করা হত। সেই পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়। নৌকোয় করে বিভিন্ন নদী, খাঁড়ি, জঙ্গলে বাঘের বিভিন্ন রকম প্রাণী খাদ্য সহ অন্যান্য জন্তুদেরও সুমারি করা হয়। বাঘের মল, মূত্র, গায়ের আঁচড়, সহ অন্যান্য চিহ্নও সংগ্রহ করা হয়। তাছাড়াও ইনফ্রারেড রশ্মিচালিত স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরার মাধ্যমেও চলে নজরদারি।
এইভাবে উন্নত পদ্ধতির মাধ্যমে বাঘ সুমারি হওয়ার ফলে বাঘের সংখ্যা নির্ণয় করা অনেক সহজতর হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক একটি চুক্তিতে বাঘেদের সংখ্যা দ্বিগুণ করবার লক্ষ্যে ভারত ছাড়াও সই করে বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া, লাও পিডিআর, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, নেপাল, রাশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম। সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিল ২০২২ সালের মধ্যে বাঘেদের সংখ্যা যেন দ্বিগুন হয়। তার আগেই ২০১৮ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি প্রধানমন্ত্রী।
Releasing the results of All India Tiger Estimation. #InternationalTigerDay https://t.co/b73ADzson4
— Narendra Modi (@narendramodi) July 29, 2019
Estimation of Tigers was a mammoth exercise :
— PIB India (@PIB_India) July 29, 2019
1. Survey of 3.8 lakh sqaure Km
2. Authorities on foot traversed 5.2 lakh square km
3. 26 K camera traps
4. 3.5 lakh images were taken out of which 76 K captured Tigers
Union Minister @PrakashJavdekar
#InternationalTigerDay pic.twitter.com/KBZ5g8idlQ