'মোটা না রোগা', 'স্লিম না প্লাস সাইজ'
আয়নায় দেখে না নিজেকে!
এমন থপথপে চেহারা নিয়ে কী করে ক্যামেরার সামনে আসে!
সময়টা ২০২০। মন্তব্য কিন্তু মধ্যযুগের। তবু এভাবেই মানুষের দিকে তাকাতে অভ্যস্ত সমাজ।
এমন সব আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সমাধান একটাই 'ডায়েট'। মানে 'খাওয়া কন্ট্রোল'। জিভের স্বাদে বা খিদের টানে নয়, খাবারে প্রোটিন ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেটের মাপ দেখে তবেই হাত এগোবে।
খবরের কাগজ, ম্যাগাজিন, হাজার এক ওয়েব সাইট হাতড়ে একটাই খোঁজ ' রোগা হওয়ার সহজ উপায় টা কী?'
২০১১- তে কানাডার মন্ট্রিল ফ্যাশন উইকে একবার উদ্যোক্তারা জানিয়েছিলেন মডেল রা না খেয়ে রaম্প ওয়াকে যেতে পারবে না।
কিন্তু কেন এমন একটি ঘোষণা করতে হল?
২০০৮ সাল পর্যন্ত ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির ছবিটা ছিল একেবারে অন্যরকম। সেই বাজারের চাহিদা মাফিক মডেলদের 'জিরো ফিগার' হতেই হবে। ক্ষীণতনু হতে গিয়ে অপুষ্টির শিকার হচ্ছিল তারা 'আনারেক্সি' হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েকজন মডেলের। তারপরই নড়েচড়ে বসে ইন্ডাস্ট্রি।
সুস্থ থাকার জন্য চাই খাদ্য। তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়কে পাত্তা না দিয়ে খাবারে মন দিন। বিশ্বের মানুষের কাছে এই কথাটি পৌঁছে দিতে প্রতি বছর ৬ মে উদযাপন করা হয় ' নো ডায়েট ডে'র।
১৯৯২ সালে মেরি ইভেন্স ইয়ং সুস্থ জীবন যাপনের ক্ষেত্রে জরুরী এই দিকটিতে নজর দিতে বেছে নেন এই দিনটি।
অস্বাস্থ্যকর ভাবে ইচ্ছেমতো ডায়েট কন্টোল কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে তার জানান দিতেই।