করোনার আবহে থমকে বিশ্ব। তার প্রভাব পড়েছে সাক্ষরতা প্রসারেও। ভারতসহ সব দেশেই আটকে গিয়েছে সাক্ষরতা প্রকল্পের কাজ।
২০২০-র বিশ্ব সাক্ষরতা দিবসের থিম হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এই পরিস্থিতিকেই।
চলতি করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ব জুড়ে যে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুধুমাত্র টিভি, রেডিয়োর মাধ্যমেই কিছু কিছু কাজ চলছে।
১৯৬৬- তে ইউনেস্কোর ১৪ তম অধিবেশনে সারা পৃথিবীতে মানুষকে শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝানোর জন্য ৮ সেপ্টেম্বর দিনটি ধার্য করা হয়। পরের বছর থেকেই বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয়ে আসছে দিনটি।
আমেরিকার একটি সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে ৭৭৪ মিলিয়ন মানুষ শিক্ষার আলোর বাইরে। তার মধ্যে ৬১৭ মিলিয়ন শিশু।
ভারতেও সাক্ষরতার ছবিটা খুব আশাজনক নয়। শহরাঞ্চল বাদ দিয়ে গ্রাম ভারতে মহিলাদের সংখ্যা গরিষ্ঠ অংশ সাক্ষরতা প্রকল্পের বাইরেই থেকে গিয়েছে।
২০০৯ সালে এদেশে শিক্ষার অধিকার আইন পাশ হয়। ৬-১৪ বছর পর্যন্ত শিশুদের অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু যারা এই বয়স সীমার বাইরে সেই শিশু ও কিশোরদের ভবিষ্যৎ আশাপ্রদ নয়। কারণ আইন এড়াতে ৬ এর নিচে এবং ১৪ পার হওয়া শিশুদের শিল্প ক্ষেত্রে শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে।
পেটের দায়ে বা পারিবারিক আর্থিক অনিশ্চয়তা যাদের শিক্ষার আঙিনা থেকে দূরে থাকতে বাধ্য করছে আজও তারা দিশাহীন।
সরকারী স্কুল এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দুই পক্ষকেই এই দিক নিয়ে ভাবতে হবে বলে মত শিক্ষার অধিকার নিয়ে আন্দোলনে যুক্ত মানুষদের।