বাঁ-হাতি দের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এদেশেই

অমিতাভ বচ্চন। শচীন তেন্ডুলকর। নরেন্দ্র মোদী। রতন টাটা। করণ জোহর

ভারতীয় এই সেলিব্রিটিদের মধ্যে ‘কমন ফ্যাক্টর’ কী?

উত্তরটা কিন্তু বেশ মজার।

সকলেই ‘লেফট হ্যান্ডার’। মানে বাঁ-হাতি।

আমাদের চারপাশের বেশির ভাগ মানুষই ডানহাতে অভ্যস্ত। পরিসংখ্যান অনুযায়ী তাদের সংখ্যাটা প্রায় ৯০ শতাংশ। বাকি ১০ শতাংশ বাঁ-হাতি।

সাধারণ চোখে বাঁ-হাতিরা যতই সংখ্যালঘু হন না, কেন ‘সেলিব্রিটি লিস্ট’-এ কিন্তু তারা সংখ্যাগুরু।  

সংখ্যাগুরুদের ভিড়ে অনেকসময়ই তাদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। সামাজিক বৈষম্যের শিকারও হতে হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশেও বাঁ-হাতি মানুষদের ওপর নানারকম সামাজিক বাধা চাপানো হত। ধর্মীয় বাধার মুখেও পড়তে হত।  

সামাজিক বাধা, বৈষম্য  থেকে বাঁচতেই এবং নিজেদের ‘ইউনিক’ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে  ১৯৭৬ সালে প্রথম ‘বাঁহাতি দিবস’- এর সেলিব্রেশন শুরু হয়। আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন ডেন আর ক্যাম্বেল।

বাঁহাতি হওয়ার সুবিধাই বা কী, অসুবিধাই বা কী সেই নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলাই উদ্দেশ্য।

প্রতি বছর আগস্ট মাসের ১৩ তারিখে পৃথিবী জুড়ে পালিত হয় ‘লেফট হ্যান্ডার্স’ দিবস।

এদেশেও আছে এমনই একটি ক্লাব। ‘ইন্ডিয়া লেফট হ্যান্ডার্স ক্লাব’। ভারতেই বাঁ-হাতি দের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দেশের মোট জনসংখ্যার ১০-১২ শতাংশ।  আরও আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল মেয়েদের তুলনায় পুরুষরাই ‘লেফট-হ্যান্ডার’ বেশি হন। বাঁহাতি মানুষদের মস্তিষ্কের ডান অংশ বেশি সক্রিয়। সেই কারণেই তারা বেশি প্রতিভাশালী হয়ে থাকে।   

গবেষণা বলছে, কে বাঁ-হাতি হবে আর কে ডান-হাতি তার পুরোটাই নির্ভর করে জিনের ওপর। জন্মের সময় ৭৫ শতাংশ শিশুই বাঁহাতি হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জন্মায়। পরবর্তী সময় তারা পরিবেশ আর অভ্যাসের ভিত্তিতে ডান-হাতি হয়ে যায়।

পৃথিবীর ৪০ শতাংশ মানুষ বাঁ-চোখে দৃষ্টি বেশি তীক্ষ্ণ। ৩০ শতাংশ মানুষের ডান কান শ্রবণ শক্তি ধারালো, এবং ২০ শতাংশ মানুষের ডানপায়ের তুলনায় বাম পায়ের ক্ষিপ্ততা বেশি। কিন্তু হাতের ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেই পরিসংখ্যানটা হয়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশ।

শুধু মানুষ নয়, পশু-পাখিদের মধ্যেও বাঁ-হাতি বৈশিষ্ট্য হয়। এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার কাঙ্গারু বেশির ভাগই বাঁ-হাতি।

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...