মন ভালো নেই পৃথিবীর। মন ভালো নেই মানুষের। করোনার জেরে ভয়, অনিশ্চয়তার আবহে ঘরে বন্দি থাকতে থাকতে ক্রমশ অবসাদের শিকার হচ্ছে মানুষ। লকডাউনের বাধায় বাইরের দুনিয়ায় প্রবেশ নিষেধ হয়ে গেলেও ঘরে থাকতে থাকতে বাইরের পৃথিবীকেই বেশি করে আঁকড়ে ধরছে মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে। ডিজিটাল দুনিয়া হয়ে উঠেছে রিয়েলিটি শো- এর আসর। তবে এই প্লাটফর্মে কোনও প্রতিযোগিতা নেই। নিজের খেয়াল খুশিতে ভালো থাকার আশ্বাস। আর নেটিজেনদের ভালো থাকার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে নাচ। নাচ নিছক বিনোদন নয়, নাচ নিজের কথা, আবেগ, ভাবনাকে প্রকাশ করার একটা পথ। মনোবিজ্ঞানীদের মতে অনেকটা মেডিটেশনের মতোই।
লকডাউনের সময়ে গোটা বিশ্ব জুড়েই ডান্স থেরাপির গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিভিন্ন দেশের কোয়ারেন্টাইন সময়ে এক সাইকোলজি জার্নালের পক্ষ থেকে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সিনিয়র সিটিজেন এবং শিশুদের ওপর করা ওই সমীক্ষায় দেখা যায় আতঙ্ক, ভয়, কাটাতে ডান্স থেরাপি অসম্ভব ভালো কাজ দিয়েছে।
তবে শুধুমাত্র লকডাউন না, নাচ সবসময়ই মানুষের মনে ইতিবাচক সাড়া দেয়।
মন খারাপ সারাতে সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই ডান্স থেরাপিতে মন দিয়েছেন। হ্যাশট্যাগ ডান্স চ্যালেঞ্জ ঘুরে বেড়াচ্ছে দেওয়ালে দেওয়ালে। নিজেদের চার দেওয়ালের মধ্যে নাচের ভিডিয়ো শ্যুট করে পোস্ট চলছে নিত্য নতুন।
ভারতীয় তারকারাও আছেন এই ট্রেন্ডে। শাস্ত্রীয় নৃত্যের গুরুরা অনলাইন গুরুকুলে ক্লাস নিচ্ছেন ছাত্রছাত্রীদের। আপলোড করছেন প্র্যাকটিস ভিডিয়ো। এভাবে লকডাউনের থমকে যাওয়া জীবনেও সারা বিশ্বে জড়িয়ে পড়ছেন তাঁরা। বলিউড ডিভা মাধুরী দীক্ষিত আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষ্যে অনলাইন ডান্স ফেস্টিভ্যাল-এর উদ্যোগ নিয়েছেন। নিজের ফ্যান আর নাচ পাগল মানুষদের জন্য। দু'দিনের এই উৎসবে অংশ নিচ্ছেন বলিউডের জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফাররা। মাস্টারক্লাস নেবেন সরোজ খান, ফারহা খান। মাধুরীর সঙ্গে থাকছেন পন্ডিত বিরজু মহারাজও। তবে সবটাই হবে অনলাইনে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকেই।