আজ সাধারণ বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বাজেট পাশের শেষ ভাগে এসে সকলকে চমকে দিলেন মন্ত্রী। ঘোষনা করলেন, আয়করের সীমা আড়াই লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করা হচ্ছে। এর আগে ৮০সি এর আওতায় দেড় লক্ষ টাকার উপর কর ছাড় ছিল তবে এবার সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা পযর্ন্ত আয় কর দিতে হবে না জনতাকে। এর আগে ৮০সি এর ঘোষনায় প্রায় ৩ কোটি সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। এবার বেতন ভোগীদের জন্য ৪০ থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হল 'স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন'। যার ফলে মধ্যবিত্ত ভারতবাসী অনেক খানি লাভবান হবেন। পাশাপাশি পোস্ট অফিস ও ব্যাঙ্ক এর ডিপোজিট সুদের টাকাও ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ হাজার টাকা করা হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে বাজেটের ঘোষনা নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা চলছিল। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমগুলির প্রকাশ করা খবর দেখে ও শুনে অনেক খানি আশায় ছিল মানুষ। এবারের বাজেট তাঁদের খুশি করেছে। পাশাপাশি কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণীর জন্যও বাজেট বেশ আনন্দের। বাজেটে প্রধানমন্ত্রী 'কিষান সম্মান নিধি' নামে একটি প্রকল্প চালুর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল তাঁর বাজেট পেশের সময় জানিয়েছেন, দুই হেক্টরের কম জমি রয়েছে এমন কৃষকদের বছরে ছ'হাজার টাকা করে সাহায্য করবে কেন্দ্র। এই সাহায্যের টাকা তিন/চার ভাগে আসবে কৃষকদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট -এ। এই ব্যবস্থার ফলে কয়েক কোটি কৃষক উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বাজেটে অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য বিশেষ পেনশন প্রকল্পের ঘোষণাও করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে 'প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মন্ধন প্রকল্প'। যাদের মাসিক আয় ১৫ হাজারের কম তারা মাসে ১০০ টাকা করে জমা করলে ৬০ বছর পর থেকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন। এছাড়া গো কল্যাণের জন্য একটি প্রকল্প ও মৎস্য চাষের জন্য পৃথক দপ্তরের ঘোষণাও হয়েছে অন্তর্বর্তী এই বাজেটে। এছাড়াও আরো কিছু করছাড়ের সুযোগ প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেট ঘোষণার পরেই চাঙ্গা হল শেয়ার বাজার। ৫১৮.৬২ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স। নিফটি বাড়ল ১৫১.৮৫ পয়েন্ট। সেনসেক্স বেড়ে দাঁড়াল ৩৬,৭৭৫.৩১ পয়েন্টে এবং নিফটি বেড়ে দাঁড়াল ১০,৯৮২.৮০ পয়েন্টে। দালাল স্ট্রিট চাঙ্গা হওয়ায় আশা করা হচ্ছে, অটো, এফএমসিজি, রিয়েলিটি এবং ফরম্যাট-এ প্রভাব পড়বে। এই যে সেনসেক্স এক ধাক্কায় বৃদ্ধি পেল, তার পেছনে এইচডিএফসি, এইচডিএফসি ব্যাংক, মারুতি এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর অবদান সবচেয়ে বেশি বলে ভাবা হচ্ছে।