পুজোয় যদি দেখা হয়ে যায় ভূতের রাজার সঙ্গে, কী করবেন?

পুজো-পুজো ভাবটা আসতে আসতে প্ল্যান শুরু। কী পরব, কী দেখব’র সঙ্গে নাছোড় আহ্লাদে যে কথাটা এসে যায় তা হল-কী খাবো। পুজো মানেই কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়া। চারদিন ধরে হইহই ব্যাপার। ব্যস্ত জীবনে সময় বড় দামি বস্তু। ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। কত কিছু শুধু দেখে দেখেই চোখের আশ মেটাতে হয়। ইন্সটাগ্রাম স্ক্রল করতে গিয়ে ফুড ব্লগার আর ভ্লগার দের একের পর এক পাত সাজানো ছবি কিন্তু আমার হাতে ইন্সট্যান্ট ন্যুডলস আর কফির কাপ, সময় কই যে সাধ মিটবে। সেই সব জমে থাকা আফসোস উসোল হয়ে যায় পুজোর চারদিন। নিরামিষ হোক বা আমিষ নিখাদ বাঙালিয়ানা।

কিন্তু একবার কল্পনা করুন, এরকম সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ যদি আপনার দেখা হয়ে যায় ভূতের রাজার সঙ্গে কেমন হবে? হাতে হাতে তালি দিলেই চোখের সামনে রাজভোগের থালা। ইয়া বড়ো মাছের মাথা, রসগোল্লা, পঞ্চব্যঞ্জন আর যা যা আপনি চান, সব আছে সেই রাজার থালায়! গুপি আর বাঘা যা যা খেয়েছিল সেই ভোজ যদি সত্যি সত্যি আপনি চেখে দেখার সুযোগ পান কেমন লাগবে!

সেই সুযোগ কিন্তু আছেই হাতের কাছে। অনেক দূর যেতে হবে না, এই বঙ্গেই মিলবে। গুপি-বাঘা, হীরকরাজা, বিক্রম, আমলকি, হরতলী সবার খাবারই আপনি চেখে শুধু নয়, একেবারে কব্জি ডুবিয়ে খেতে পারেন।

গন্ধরাজ দইয়ের ঘোল, লুচি, বেগুনভাজা থেকে শুরু করে ফিস ফ্রাই, কচুপাতা ভাপা চিংড়ি, ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচু শাক, পাবদা, পোলাও, সোনা মুগ ডাল,শুক্তোনি এসব তো আছেই। নজর কাড়বে গোবিন্দ ভোগ চালের মুর্গি পোলাও আর ভূতের পোড়া কালো খাসির মাংস।

পদের তালিকা দেখতে দেখতে খিদেটা একতু বেশি পেয়ে গেলে আসতেই পারেন ভূতের রাজার ডেরায়। সেখানেই দেখা হয়ে যাবে রাজার সঙ্গে। গুপি-বাঘা থেকে হীরক রাজা কে নেই সেখানে!

ডেরার ঠিকানা ‘ভূতের রাজা দিল বর’ রেস্তোরাঁ। লোকেশন ১এফ, রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক রোড, শান্তিপল্লী, যাদবপুর। এছাড়াও সল্ট লেক সেক্টর-ফাইভ, চন্দননগর, শিলিগুড়ি এবং কল্যাণীতেও শাখা আছে।

  

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...