অ্যান্টিবায়োটিক তৈরীর নির্দেশিকা

অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার রুখতে নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। রোগ নিরাময়ে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ যেমন মুখ্য ভূমিকা রাখে, তেমনি এর ভুল প্রয়োগে বা অতিরিক্ত প্রয়োগেও ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। সরকারি এবং বেসরকারি সব ডাক্তারদেরই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের জন্য সঠিক নির্দেশ দেওয়া উচিৎ বলে মনে করছে রাজ্য সরকার।

কেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যেই  ২০১৬ সাল থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নির্দেশাবলী জারি করা আছে। এবারে রাজ্যও সেই পথ অনুসরণ করতে চলেছে। ২০১৯-এর ভিতর এই নির্দেশাবলী  রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে বাস্তবায়নের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

জীবাণু প্রতিরোধক ওষুধ নিয়ে নির্দেশনামাই যে কেবলমাত্র ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার কমাতে পারবে তা নিয়ে চিকিৎসকরাও নিশ্চিন্ত নন। তারা জানান, অনেক সময় রোগ নিরাময়ের আগেই কোর্স শেষ না করে  রুগী ঔষধ নেওয়া বন্ধ করে দেন। ফলে কমে যাওয়া ব্যাকটেরিয়ার জিনগত পরিবর্তন বেড়ে যেতে পারে। অনেক সময় দ্রুত সেরে ওঠার জন্য অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয় রোগীকে। রোগের প্রথম ধাপে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক -এর প্রয়োগ ঔষধের কার্যকরী ক্ষমতা কমিয়েও দিতে পারে মাঝে মাঝে।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সব দিক বিবেচনা করে আগামী দিনে হাসপাতালগুলিতে অ্যান্টিবায়োটিক বাব্যবহারের নির্দেশিকা পাঠাবে বলে জানিয়েছে। তবে নির্দেশিকা লঙঘনে কোন রকম আইনি ব্যবস্থা নেই বলে তা কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে আশংকা রয়ে গেছে। তবে রাজ্যে এ ব্যাপারে নির্দেশিকা মানা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ হাসপাতালগুলোয় নজর রাখবে বলে জানা গেছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...