প্রায় অন্তিম লগ্নে এসে দাঁড়িয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের খেলা। বাকি রয়েছে আর চারটি ম্যাচ। কিন্তু সেমিফাইনালে কোন চারটি দল খেলবে তা এখনও খুব স্পষ্ট নয়। গ্রুপ এ থেকে নিউজ়িল্যান্ডের সেমিফাইনালে যাওয়া কার্যত নিশ্চিত। কিন্তু দ্বিতীয় দল কে হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভারতের গ্রুপেও এখনও স্পষ্ট নয় কোন দু'টি দল যাবে।
রবিবার ভারত বনাম জ়িম্বাবোয়ের ম্যাচ। সেই ম্যাচে জিতলেই সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবেন রোহিত শর্মারা। ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থাকবেন তাঁরা। তখন অন্য গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের সঙ্গে খেলতে হবে রোহিতদের। কিন্তু যদি জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ভারত হেরে যায় তা হলে ৬ পয়েন্টই থাকবে তাদের। সেই পরিস্থিতিতে যদি দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে যায় তা হলে গ্রুপ শীর্ষে চলে যাবে তারা। দ্বিতীয় স্থানে থাকবে ভারত। রোহিতদের পিছনে ফেলে দিতে পারে এক মাত্র পাকিস্তান। তারা যদি বাংলাদেশকে বিরাট ব্যবধানে হারায় এবং ভারত হেরে যায় জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে, তবেই সেমিফাইনালে যাবেন বাবর আজ়মরা।
যদি গ্রুপ শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে ভারত ওঠে, সে ক্ষেত্রে রোহিত শর্মাদের খেলতে হবে অস্ট্রেলিয়া অথবা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। গ্রুপ এ-তে যা পরিস্থিতি তাতে নিউজ়িল্যান্ডকে প্রথম স্থান থেকে সরানো খুব কঠিন। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড শেষ দু'টি ম্যাচ জিতলে পয়েন্টের হিসাবে কিউইদের ধরে ফেললেও টপকে যেতে পারবে বলে মনে করছেন না পরিসংখ্যানবিদরা। অস্ট্রেলিয়ার যা নেট রানরেট তাতে শুক্রবার আফগানিস্তানকে হারিয়ে দিলেও সেমিফাইনালে যাওয়া কঠিন। যদি না শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হেরে যায় ইংল্যান্ড। গ্রুপ এ থেকে হয়তো নিউজ়িল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড যাবে সেমিফাইনালে। ভারত যদি নিজেদের গ্রুপে শীর্ষে থাকে তা হলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে হবে তাদের। ইংল্যান্ড এ বারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত দু'টি ম্যাচ জিতেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচ ভেস্তে যায়। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে যায় ইংল্যান্ড।
ভারত যদি নিজেদের গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে তা হলে তাদের খেলতে হতে পারে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে। কেন উইলিয়ামসনের দল এ বারের বিশ্বকাপে ছন্দে রয়েছে। ২০১৯ সালে এই নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধেই সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতকে। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল তারা। সেই দলের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে খেলতে হলে ভারতের উপর কিছুটা মানসিক চাপ থাকবেই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত তিনটি জয় পেলেও ভারতের দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন এড়ানো যাচ্ছে না। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পরেই দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। হঠাৎ করে দীপক হুডাকে কেন খেলানো হল তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই ভারতের দল নির্বাচনের তুমুল সমালোচনা করলেন ইয়ান চ্যাপেল। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার এক কলামে নিজের দলের সমালোচনা করতে গিয়ে টেনে এনেছেন ভারতের নাম।
চ্যাপেল লিখেছেন, "আমাদের দলে কেন টিম ডেভিডকে কেন নেওয়া হয়েছে জানি না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কী করেছে ও? কখনও কখনও নির্বাচকরা ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে নেন। ভারত এ ক্ষেত্রে সবার সেরা উদাহরণ। ঋষভ পন্থের বদলে ওরা দীনেশ কার্তিককে খেলাচ্ছে। অদ্ভুত ব্যাপার! আমার মতে, প্রতি ম্যাচে খেলা উচিত পন্থের। সব দেশেই দেখছি একই জিনিস চলছে।"
প্রসঙ্গত, একই বিষয় নিয়ে কদিন আগেই মুখ খুলেছিলেন ভারতের প্রাক্তন ব্যাটার বীরেন্দ্র সেওয়াগ। ম্যাচ ফিনিসার হিসাবে দলে ঢোকা কার্তিক চলতি বিশ্বকাপে এক বারও সেই কাজ করতে পারেননি। পাকিস্তান ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়ে দলের বিপদ বাড়ান। অন্য দিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে যখন তাড়াতাড়ি অনেকগুলি উইকেট পড়ে যায়, তখনও তিনি একটা দিক ধরে রেখে ইনিংস এগোতে পারেননি।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে একটি কলামে এই প্রজন্মের সর্বকালের সেরা ব্যাটার বেছে নিয়েছিলেন চ্যাপেল। তাঁর মতে, কোহলিই বর্তমান প্রজন্মের সেরা ব্যাটারা। অন্তত টেস্ট ক্রিকেটে তো বটেই। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, ''কোহলি দুর্দান্ত খেলোয়াড়। ওর হাতে নানা রকম শট রয়েছে। প্রতিযোগিতা পছন্দ করে। ব্যাটিংয়ের মধ্যে ভাবনার ছাপ দেখা যায়। কোহলির কাছে জানতে চেয়েছিলাম, কেন ঝুঁকিপূর্ণ শট এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে? কোহলি বলেছিল, ও চায়না টেস্ট ক্রিকেটে কেউ ওর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার সুযোগ পাক। যদিও আমরা কোহলিকে আগের মেজাজে দেখতে পাচ্ছি না। হতে পারে বয়স বাড়ার জন্য। আবার নেতৃত্বের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার জন্যও হতে পারে। কারণ যাই হোক, কোহলিকে আবার জাগিয়ে তোলা দরকার।''
বেশ কিছু চিন্তা এখনই রোহিত শর্মাদের পিছু ছাড়চে না। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ বলে গিয়ে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সহজ জয় পেলেও তাদের ১০টি উইকেট তুলতে পারেননি মহম্মদ শামিরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হেরেই যায় ভারত। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বৃষ্টি না হলে চিন্তা বাড়তে পারত রোহিতদের। এমন অবস্থায় রবিবার জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠলেও বেশ কিছু জায়গা নিয়ে ভাবতে হবে রাহুল দ্রাবিড়দের।
এখনও পর্যন্ত প্রথম ৬ ওভারে সে ভাবে খেলতে পারেনি ভারত। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্কোর ছিল ৩১/৩। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৩২/১। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩৩/২। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩৭/১। প্রতিটি ম্যাচেই পাওয়ার প্লে-তে উইকেট হারিয়েছে ভারত। পাওয়ার প্লে-তে অন্য দল যখন ৫০-৬০ রান তুলছে, ভারত আটকে থাকছে ৩০ রানের ঘরে।
বুধবার ভারত প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৮৪ রান তোলে। স্বস্তির বলতে রানে ফিরেছেন লোকেশ রাহুল। বাংলাদেশ ম্যাচে রাহুল ৫০ রান করেন। বিরাট কোহলি অপরাজিত থাকেন ৬৪ রানে। এই বিশ্বকাপে এটা তাঁর তৃতীয় অর্ধশতরান। ১৬ বলে ৩০ রান করেন সূর্যকুমার যাদব।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে কোহলি বলেন, ''এই মাঠে খেলতে আমার সব সময়ই ভাল লাগে। নেটে ঢুকলেই মনে হয় যেন নিজের ঘরে ঢুকছি। এই ইনিংসটা মেলবোর্নে খেলতে পারলে আলাদা অর্থ থাকত। অ্যাডিলেডে সব সময়ই ব্যাটিং খুব উপভোগ করি।'' ওই ম্যাচে অর্ধশতরান করে সচিন তেন্ডুলকরের আরও একটি নজির ভেঙে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সব ফরম্যাট মিলিয়ে করা রান সংখ্যার বিচারে সচিনকে টপকে গিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের জয় নিয়ে কোহলি মজা করে বলেন, ''খুব হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল। এতটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই অবশ্য আমরা পছন্দ করি না।'' নিজের পারফরম্যান্সেও তৃপ্ত কোহলি। এ নিয়ে বলেছেন, ''মনে হয় ব্যাট হাতে আরও একটা ভাল দিন কাটাতে পারলাম। যখন মাঠে নেমেছিলাম একটু চাপ ছিল। নিজের মতো খেলার চেষ্টা করেছি। বল ভাল দেখতে পাচ্ছিলাম। উইকেটে গতি বেশ ভাল ছিল। এমন গতিই আমার পছন্দ।''
সেই রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের জয়ের আশা বাড়িয়েছিলেন লিটন। তিনি একাই ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের। পাওয়ার প্লে-তে তিনি যে ভাবে ভারতীয় বোলারদের মাঠের বাইরে পাঠাচ্ছিলেন তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ২৭ বলে ৬০ রান করে আউট হয়ে যান লিটন। বৃষ্টির জন্য এর পর বাংলাদেশের লক্ষ্য হয়ে যায় ১৬ ওভারে ১৫১ রান। কিন্তু ১৪৫ রানেই শেষ হয়ে যায় শাকিবদের ইনিংস। ৫ রানে ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ।
নতুন বলে উইকেট নিতে হবে ভারতকে। আরশদীপ সিংহ যে কাজটা করে থাকেন, সেটা প্রতি ম্যাচেই প্রয়োজন। শুরুতেই বিপক্ষকে ধাক্কা দিতে না পারলে বিপদে পড়বে ভারত। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের মতো দলের বিরুদ্ধে খেলতে হলে নতুন বলে উইকেট অবশ্যই প্রয়োজন। অ্যালেক্স হেলস, জস বাটলারদের শুরুতেই ফেরাতে না পারলে তাঁরা যে কী করতে পারেন, সেটা এ বারের বিশ্বকাপেই দেখা গিয়েছে।
যশপ্রীত বুমরার অভাব একটা জায়গাতে এখনও বুঝতে পারছে ভারত। সেটা অবশ্যই ডেথ ওভার। অনেক ম্যাচেই রান হয়ে যাচ্ছে এই ওভারগুলোতে। পাকিস্তান ম্যাচে শেষ দিকে রান উঠে যায়। এর ফলে রানের লক্ষ্য অনেকটাই বেশি হয়ে গিয়েছিল। আরশদীপ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হাতে ২০ রান পেয়েছিলেন বলে বেঁচে যান। নইলে তাঁর ওই ওভারে ১৪ রান নিয়েছিল বাংলাদেশ। তা নেহাত কম নয়। হার্দিক পাণ্ড্যকেও ডেথ ওভারে বল করানো হচ্ছে। কিন্তু তিনিও সে ভাবে সফল নন।
তবে প্রত্যেক ম্যাচেই কোনও না কোনও পেসার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে দলকে ম্যাচের দখল নিতে সাহায্য করছেন। ভারতীয় বোলারদের ইকোনমি রেটও বেশ প্রশংসনীয়। ভারতের তিন প্রধান পেসারের কেউই এখনো অবধি খেলা চারটি ম্যাচের একটিতেও বিশাল রান খরচ করেননি।
ভারতীয় পেসারদের এই দাপটের মাঝেও আলাদা করে পাদপ্রদীপের আলো কেড়ে নিচ্ছেন তরুণ বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার অর্শদীপ সিং। ভারতের খেলা চারটি ম্যাচের প্রতিটিতেই তিনি মনে রাখার মত কিছু করে দেখাচ্ছেন। চলতি বছরের শুরুর দিকেও যিনি ভারতীয় দলের সদস্য হয়ে উঠতে পারেননি, তিনি এখন ভারতীয় বোলিংয়ের মূল শক্তি হয়ে উঠেছেন। তার এই উত্থান নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণামূলক।
এখনো পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক তিনি। নিজেরে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেই এই পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। টুর্নামেন্ট শেষে তিনি কটা উইকেট পাবেন তা জানা না থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ট্রেন্ট বোল্ট, প্যাট কামিন্স মতো অভিজ্ঞ পেসারদের পেছনে ফেলে কিছুদিনের জন্য হলেও শীর্ষস্থানে রয়েছেন পাঞ্জাবী পেসার, এই বা কম কি।
এই টুর্নামেন্টে ভারতের হয়ে প্রথম ম্যাচটি খেলতে নেমেই নজর কেড়েছিলেন অর্শদীপ। পাকিস্তানের দুই তারকা ওপেনের বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ানের পাশাপাশি পিন্চ হিটার আসিফ আলীর উইকেট তুলে ভারতকে ম্যাচে অনেকটা সুবিধা করে দিয়েছিলেন তিনি। যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে হারের পর তাকে খালিস্থানী হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই বিশ্বকাপে ভারতের সেরা বোলার হয়েছিলেন অর্শদীপ। এরপর ডাচদের বিরুদ্ধে ম্যাচেও তিনি দুটি উইকেট নেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতকে হারতে হলেও অর্শদীপ প্রশংসনীয় বোলিং করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বিপদজনক দুই ব্যাটার কুইন্টন ডি কক এবং রিলি রসৌকে নিজের প্রথম ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছিলেন তিনি। আর আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও সাকিব আল হাসানের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট সহ দুটি উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ের বড় ভূমিকা রেখেছেন তরুণ এই তারকা। নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেই শেষপর্যন্ত যেদিন তিনি সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের সম্মানটি নিজের নামের সাথে জুড়ে নিতে পারেন, তাহলে তার চেয়ে বড় ব্যক্তিগত প্রাপ্তি এইমুহূর্তে তার কাছে অন্য কিছুই হবে না।
চলতি বিশ্বকাপে নজর কেড়েছেন ভারতের টি-টোয়েন্টি একাদশে প্রত্যাবর্তন করা মহম্মদ শামি। বিশ্বকাপে প্রচারের আড়ালে চুপচাপ নিজের কাজটা করে চলেছেন শামি। তিনি ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কৃপণ বোলিং করে চলেছেন। সেই সঙ্গে তিনি প্রতি ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটও তুলে চলেছেন।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হোক বা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ, শামি কোনও ম্যাচেই বেশি রান দেননি এবং উইকেটও তুলেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যে ম্যাচটিতে ভারতকে হারতে হয়েছিল সেই ম্যাচে নিজের ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলেছিলেন শামি। চলতি বিশ্বকাপে এখনো প্রতি ৪ টি ম্যাচ খেলে ১৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৯০ রান দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই পেসার। ৪টে উইকেটও পেয়েছেন। দলের প্রয়োজনে নতুন বল হাতে, মাঝের ওভারে বা ডেথ ওভারেও বোলিং করছেন তিনি। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা আশা করবেন শামি অবশিষ্ট টুর্নামেন্টেও নিজের এই ফর্ম বজায় রাখবেন।
বিশেষ উল্লেখ্য এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক। শুক্রবার নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই কীর্তি গড়লেন আয়ারল্যান্ডের জস লিটল। তাঁর তিন শিকার কেন উইলিয়ামসন, জিমি নিশাম এবং মিচেল স্যান্টনার।
নিবন্ধকারঃ ঋদ্ধি রিত