ইতিহাস বিষয়টির মধ্যে কি সাংঘাতিক সমৃদ্ধশালী তথ্যের আকর রয়েছে তা প্রতি মুহূর্তে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আবিষ্কৃত নানান তথ্য জানান দিচ্ছে। বলতে দ্বিধা নেই বিষয়টির সাথে বিজ্ঞান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শুধু তাই নয় এই সব তথ্য ইতিহাসের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। ভাবলেই রোমাঞ্চকর লাগে আর তা যদি চোখের সামনে দেখা যায় তার তৃপ্তি অন্যরকম। ঠিক তেমনি সম্প্রতি একটি হারিয়ে যাওয়া রাজ্যের চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের ওরিয়েন্টাল ইনস্টিটিউটের গবেষকরা । আজ সেই তথ্যই জানাবো।
দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন ইতিহাস বিষয়ে গবেষণা করে আসছে এই ওরিয়েন্টাল ইনস্টিটিউট। মধ্যপ্রাচ্যে মানুষের বাস তা প্রায় তিন হাজার বছরের কিছু বেশি। তখন থেকেই বহু ছোটো-বড়ো রাজ্য গড়ে উঠেছে এই অঞ্চলে। সম্প্রতি দক্ষিণ তুর্কি প্রদেশের তুর্কমেন-কারাহাইক অঞ্চলের স্থানীয় কৃষকরা সেচের জন্য খাল খনন করতে গিয়ে প্রাচীন হায়ারোগ্লিফিক লিপির এক শিলালিপি দেখতে পেয়ে খবর দেয় ওরিয়েন্টাল ইনস্টিটিউটের গবেষকদের। আর তারাই সেই লিপির পাঠোদ্ধার করে জেনেছেন যে , তথ্য অনুযায়ীএটা একটি রাজনথি । আর সেখানেই সন্ধান রয়েছে এক রাজ্যের। ওরিয়েন্টাল ইনস্টিটিউটের গবেষক প্রফেসর জেমস অসবর্ণের মতে , রাজ্যটির সময়কাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৪০০ থেকে ৬০০ অব্দ অর্থাৎ ব্রোঞ্জ যুগ ও লৌহ যুগের একটি রাজ্য। এখনও পর্যন্ত রাজ্যটির নাম জানা না গেলেও, আয়তনে বেশ বড়ো রাজত্ব ছিল বলেই অনুমান গবেষকদের। শিলালিপির তথ্য জানায় যে , মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন ফ্রিজিয়া নামক এক রাজ্যের রাজা মিদাসকে যুদ্ধে পরাজিত করেছিল প্রাচীন এই রাজ্যের সেনাবাহিনী। জনপদটির আয়তন ছিল প্রায় ৩০০ একর। হতে পারে, এটাই সেসময়ের মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় জনপদ। তৎসহ তুর্কমেন-কারাহাইক অঞ্চল থেকেই রাজ্যপাট চলত বলেও অনুমান তাঁদের।
তবে এই রাজত্বের ইতিহাস জানতে আরো খননকার্য চালানো হচ্ছে। এখন অপেক্ষা সময়ের। ইতিহাসের পাতায় নবতম কি কি সংযোজন ঘটবে তা সময়ই বলবে ।