পরিবেশ রক্ষা আর মানসিক ক্লান্তি দূর করার পদ্ধতিতে চমক দিল নবম শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থী। একজনের গবেষণার বিষয় ছিল নাচ গান-এর মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি নিয়ে আসা। অন্যজনের বিষয় হল সঠিক পদ্ধতিতে বাড়ি তৈরির মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা ও বৃষ্টির জল সংরক্ষণের উপকারিতা। এই দুই খুদে বিজ্ঞানীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র -'ইসরো'।
নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সোহম মণ্ডল ও অতেন্দ্রীয় আচার্য বেঙ্গালুরুর মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বিজ্ঞানীদের সাথে দেখা করবে। জানাবে তাদের ভাবনার কথা। আগামী এপ্রিল-মে মাসের দিকে তারা বেঙ্গলুরু যাবে ইসরো-র আমন্ত্রণে। দুই জন শিক্ষার্থীর ভিতর সোহম মন্ডল রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের ছাত্র। সিউড়ি বেণীমাধব ইনস্টিটিউশনে অধ্যয়ন করছে অতেন্দ্রীয় আচার্য। দুই পড়ুয়ার বাড়িতে ইসরো কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণ পত্র পৌঁছবে নবান্নের পক্ষ থেকে। রাজ্যের বিদ্যালয়গুলির ভিতর কেবল জেলার এই দুই জন ছাত্রই ইসরোর আমন্ত্রণ পেয়েছে বলে জানা গেছে প্রশাসনিক সূত্রে। এই প্রাপ্তিতে খুশি হয়েছে দু’টি স্কুলের শিক্ষকরা এবং বীরভূম জেলা শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস।
নাচে-গানে ক্লান্তি ভোলার উপায়ে আদিবাসীদের দৃষ্টান্ত নিয়ে পর্যবেক্ষন করেছে সোহম। নতুন বাড়ি নির্মাণের সময় চারপাশে গাছপালা লাগিয়ে জলের অপচয়ের বদলে তা কি করে পরিবেশ রক্ষার কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে পর্যবেক্ষন করেছে অতেন্দ্রীয়। শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে অংশ গ্রহণ করেছিল ১৫২টি বিদ্যালয়। রাজ্যস্তরে যোগ দেয় সোহম এবং অতেন্দ্রীয় বলে জানিয়েছেন বীরভূম জেলা শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের আহ্বায়ক তারক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান ছাত্রদের পর্যবেক্ষণের তথ্য ইসরোর কাছে পৌঁছয় রাজ্য সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের মাধ্যমে। স্কুল ছাত্রদের জন্য গর্বিত অভিভাবক এবং শিক্ষকেরা। আপাতত ইসরোর যোগ দানের জন্য ছাত্রদের তৈরী করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।