ভরপুর বাঙালিয়ানায় ভূতের রাজা দিল বর

‘পুজোর চারদিন জমিয়ে খাওয়া দাওয়া’- দুর্গা পুজোর মাহাত্ম্য অনেকের কাছেই এই একটি লাইনে আটকে যায়। জামাকাপড়-জুতো, ঠাকুর দেখার পাশাপাশি রেডি হয় আর একটা লিস্ট- ভুরি ভোজের লিস্ট। ষষ্ঠী-সপ্তমী-অষ্টমী-নবমী চারদিন জুড়ে হুল্লোড়। অফিস-পাঠশাল নেই। শুধু খাওয়াদাওয়া আর আড্ডা।

অনেকেই পুজোর আগে থেকে হোটেল-রেস্তোরার নতুন মেনুতে নজর রাখে। কোথায় কী চলছে- এবারের পুজো আকর্ষণ বা কী! কেউ কেউ আবার চারদিন শুধু বাড়ির রান্নায় মজে। রেঁধে-বেড়ে-খেয়ে-খাইয়ে কী যে সুখ! আবার কেউ বলেন সারা বছর রান্না করে পুজোর চারটে দিন বাড়িতে হাঁড়ি বারণ।

কেমন হত যদি পুজোর ক’দিন রোজ রোজ হাতে তালি মারলেই গুপি-বাঘার মতো ভোজ মিলে যেত। সত্যজিতের ছবিতে এমন আশ্চর্য লোভ লাগায়। তবে পুজোর সময় কিন্তু চাইলেই দেখা হয়ে যেতে পারে ভূতের রাজার সঙ্গে! একেবারে ভূতের রাজার আস্তানায়। আস্তানার ঠিকানা ‘ভূতের রাজা দিল বর’। খাইয়ে-রসিকদের কাছে এ এক জাদুমহল। এখানে হাতে হাতে তালি দিলেই চলে আসে থালি। আর সেই থালিতে থাকে এলাহি ায়োজন। নিরামিষ থেকে আমিষ, কোন দিক ছেড়ে কোন দিকে তাকাবেন!  ভেজ থালি, নন-ভেজ থালি তো আছেই- তবে এখানে সেন্টার অফ অ্যাট্রাকশন কিন্তু ভূতের রাজার থালি! ইলিশ থেকে মৌরলা, চিকেন থেকে মাটন সব কিছুই স্বাদে –গন্ধে একশোয় একশো! খরচও বাজেট ফ্রেন্ডলি।

যাদবপুর, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ, চন্দননগর, শিলিগুড়ি, কল্যাণীতে আছে ‘ভূতের রাজা দিল বর’ রেঁস্তোরার শাখা।

পুজো কাটুক ভরপুর বাঙালিয়ানায়!     

 

 

 

 

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...