গর্বের সঞ্জল

ছোট থেকে স্বপ্ন ছিল মহাকাশযান। নাসায় যোগদানের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদনে ফল হয়নি শুধুমাত্র নাগরিকত্বের কারণে।

কিন্তু হতাশাকে নিজের ধারে কাছে ঘেঁষতে দেয়নি এই মেয়ে, বরং আরও বেশি করে মন দিয়েছিল মহাকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে। সেই স্বপ্ন আজ সফল। তার তৈরি যানে সওয়ার হয়েই মহাকাশ পাড়ি দিলেন আমাজন কর্তা জেফ বেজোস।

ব্লু অরিজিন সংস্থার নিউ শেফার্ড বানানোর কারিগর সেই মেয়ে। সঞ্জল গাভান্দে। ব্লু অরিজিনের মহাকাশযান তৈরির দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়রদের মধ্যে অন্যতম।

বছর তিরিশের সঞ্জলের জন্ম মহারাষ্ট্রের কল্যাণে। বাড়ি কোলসেওয়াড়ি এলাকায়। বাবা মুম্বই কর্পোরেশনের কর্মী।

মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে সঞ্জল আমেরিকার মিশিগান টেকনোলজিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাস্টার্স ডিগ্রি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এয়ারোস্পেস নিয়েও পড়াশোনা করতেন।

প্রোজেক্টে কাজ করার আগে ব্রানসউইক কর্পোরেশনের মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের সঙ্গে কাজ করেন।  টয়োটা রেসিংয়েও কাজ করেছেন। কমার্শিয়াল পাইলটের লাইসেন্স রয়েছে।

sanjal

সঞ্জলের বাবা অশোক গাভান্দে জানিয়েছেন, ছোট থেকে মহাকাশযান তার প্রথম পছন্দ ছিল। সেই কারণেই মাস্টারস করার সময় এরোস্পেস বিষয়টি সে বেছে নিয়েছিল।

সঞ্জল নিজে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর ছোটবেলার স্বপ্ন সত্যি হল। রকেটের ইঞ্জিন বানানোর দায়িত্ব ছিল তাঁরই উপর।

২০ জুলাই স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় পশ্চিম টেক্সাসের মরুভূমির ‘লঞ্চ সাইট ১’ থেকে চার জন যাত্রী-সহ উৎক্ষেপিত হয় ‘নিউ শেপার্ড’। টিমের মধ্যে ছিলেন আমাজন কর্তা নিজেও।

অ্যাপলো ১১-র চাঁদে অবতরণের ৫২তম বছরকে সম্মান জানাতেই এই দিনটি বেছে নিয়েছিলেন জেফ।

 

সেই দিক থেকে দেখতে গেলে সঞ্জলের জীবনে ২০ জুলাই এক স্বপ্নের দিন।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...