২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করে ইতিহাস গড়েছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। জয়ের পর থামেনি ইসরো সংস্থা। সূর্যের পথে পাড়ি দিয়েছে আদিত্য এল-১। তবে এখানেই নয় মঙ্গল গ্রহের আরও এক গ্রহের গবেষণা চালাতে চলেছে ভারতীয় গবেষণা সংস্থা ইসরো। তৈরি হচ্ছে মিশন ‘শুক্রযান’।
মঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভারতের মঙ্গলযান ‘মম’। এবার ইসরোর বড় লক্ষ্য সৌরজগতের আরও এক গ্রহ শুক্র। এমনটাই জানা গিয়েছে ইসরো প্রধান এস সোমনাথের থেকে। জানা গিয়েছে এই ঐতিহাসিক মিশনে ইসরো সংস্থার পাশে দাঁড়িয়েছে ফরাসি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, সিএনইএস।
তবে চমক এখানেই শেষ নয়। ইসরো সংস্থা দেখার এটাই চেষ্টা করছে যে ভবিষ্যতের পৃথিবী হতে পারে কি সৌরজগতের শুক্র গ্রহ? এই বিষয়ে সমস্তরকম উদ্যোগ নিতে চলেছে ভারত সংস্থা।
বিজ্ঞানীদের মধ্যে বরাবরই শুক্র গ্রহকে ঘিরে কৌতূহল তুলনামূলক একটু বেশি। শুক্র গ্রহের আকার প্রায় পৃথিবীরই সমান। শুক্র গ্রহের ব্যাস ৭ হাজার ৫২১ মাইল (১২ হাজার ১০৪ কিলোমিটার)। অন্যদিকে পৃথিবীর ব্যাস ৭ হাজার ৯২৬ মাইল (১২ হাজার ৭৫৬ কিলোমিটার)।
এছাড়া জানা গিয়েছে শুক্র গ্রহের আবহাওয়ামণ্ডল পৃথিবীর থেকে ১০০ গুণ বেশি ঘন এবং গ্রহজুড়ে অ্য়াসিডের মাত্রা প্রচুর বেশী। তাই শুক্রকে ঠিক ভাবে নিরীক্ষণ করবে ইসরো।
এই অ্যাসিডের বায়ুমণ্ডল ভেদ করে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে ইসরো? এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে যে ইসরো সংস্থা সমস্তরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ‘পেডার’ নামক একটি যন্ত্র তৈরি করা হচ্ছে যা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পেডার যন্ত্রটি শুক্রযানে যাবে। তারপর শুক্রযানের ভেতরেই থাকবে এবং বায়ুমণ্ডল ভেদ করে অবতরণ করে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করবে, মাটি নিরীক্ষণ করবে এবং এটাও দেখবে যে জলের কোনও অস্তিত্ব আছে কিনা, যদি না থাকে তাহলে অন্য উপায় খুঁজবে তারা। সব গবেষণা শেষ হলে আবার ফিরে আসবে ভারতে।
এবার কতটা কি হবে সেটা ভবিষ্যৎ-এই দেখা যাবে। সত্যি কি শুক্র গ্রহ হবে আমাদের দ্বিতীয় পৃথিবী?