দেশের প্রথম 'টাইম ব্যাঙ্ক' তৈরী হতে চলেছে মহারাষ্ট্রে। কমল নাথ সরকারের 'অধ্যাত্ম' (স্পিরিচুয়ালিটি) ডিপার্টমেন্ট এই মর্মে একটি ঘোষণা করল শুক্রবার। রাজ্যের অতিরিক্ত সচিব মনোজ শ্রীবাস্তব, সমস্ত জেলার কালেক্টর এবং রাজ্য আনন্দ সংস্থান-এর আধিকারিকদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এই পদ্ধতিটি একটি আদান-প্ৰদান ভিত্তিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে অর্থের জায়গায় সবার 'সময়ের দাম' দেওয়া হয়। বয়স্ক মানুষদের দেখাশোনা, বাগান পরিচর্যা, দুঃস্থ শিশুদের পাঠদান জাতীয় বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ এই প্রক্রিয়াটির মধ্যে পড়ে। এর বিনিময়ে সেই সময়টাই ফেরত দেওয়া হয়। এই টাইম ব্যাঙ্ক শুধুমাত্র একটি জেলাতেই নয়, সব জেলায় স্থাপন করা হবে। ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টররা ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে কাজ করবেন এবং 'রাজ্য আনন্দ সংস্থান'-এর আধিকারিকরা এই বিষয়টিকে প্রচারের দায়িত্বে থাকবেন। শ্রীবাস্তব জানান, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রচুর মানুষকে সাহায্য করা যাবে এবং যখন কেউ সাহায্য পেয়ে খুশি হবেন, তিনি তাঁর পরিচিত কাউকে এই ব্যবস্থার ব্যাপারে অবগত করতে পারবেন। এভাবেই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে 'টাইম ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট' কাজ করবে। কাউকে একবার সাহায্য করলেই যে তাকে আবার সেই একই ব্যক্তিকে সাহায্য করতে হবে বা সেই একই ব্যক্তির কাছ থেকে আবার সাহায্য নিতে হবে, এমন কোনও ব্যাপার থাকবেনা। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল পরিষেবা বা ড্রাইভিং পরিষেবা যে কোনও পরিষেবার ক্ষেত্রেই এই টাইম ব্যাঙ্ক প্রযোজ্য হবে।
মধ্যপ্রদেশের সিনিয়র সিটিজেনরা এই ব্যবস্থার মাধ্যমে যথেষ্ট উপকৃত হবেন বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। এই পদ্ধতিটি প্রথম শুরু হয় আমেরিকায় ১৯৯৫ সালে। মধ্যপ্রদেশের প্রতিটি জেলা থেকে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিয়ে ভলান্টিয়ারের দল গঠন করা হবে। টাইম ব্যাঙ্ক সদস্যদের একটি পোর্টাল গ্রহণ করে দেবে রাজ্য সরকার এবং সেখানে কে কত সময় দান করেছে, সেই সময়ের হিসেব থাকবে। যাঁরা ইচ্ছুক তাঁদের ১৫ দিনে অন্তত চারবার সময় দান করতে আহ্বান করা হচ্ছে। সেই হিসেবে মতো বোঝা যাবে কে কতটা কাজের প্রতি দায়বদ্ধ।