লছমনঝুলা নতুন গ্লাস ফ্লোরের মোড়কে আসতে চলেছে যা ভারতে প্রথম

 

গত বছর তুমুল বৃষ্টির জেরে ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল উত্তরাখন্ড। সেই সময় মানুষের চলাচলের জন্য বিপজ্জনক ঘোষণা করে ১২ জুলাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী লছমনঝুলা ব্রিজটি। যারপরনাই সকলের মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কারণ হৃষিকেশের অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ এই লছমনঝুলা। ১৯২৩ সালে নির্মাণের পর এই প্রথমবার বন্ধ করা হয়েছিল ব্রিজটি।

                তবে ওই ঐতিহ্যবাহী ব্রিজটি নতুনভাবে পুনর্নিমাণের জন্য ভাবনাচিন্তা করা শুরু করে দিয়েছিল উত্তরাখন্ড সরকার। তারই ফলস্বরূপ পুরোনো ব্রিজের পাশেই তৈরি হচ্ছে একেবারে নতুন প্রযুক্তিতে একটি ব্রিজ। নতুন ব্রিজের নকশায় রয়েছে নতুন চমক। ব্রিজের মাঝখানে এবং দুই ধারে থাকবে গ্লাস ফ্লোর। বিদেশের অনেক ব্রিজেই এমনটা দেখা যায়।

              আইআইটি মুম্বই ব্রিজটির নকশা অনুমোদন করেছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২১ সালের কুম্ভমেলার আগেই ব্রিজটির কাজ শেষ হয়ে যাবে। তবে প্রশাসন ব্রিজের ডেডলাইন নিয়ে চিন্তিত নয় বলেই জানা গেছে। পিডব্লিউডি দফতর থেকে জানা গেছে,  নতুন ডিজাইনের এই ব্রিজটি তৈরির প্রায় দেড়শ বছর পরেও একইরকম থাকবে। অতিরিক্ত চিফ সেক্রেটারি ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, ব্রিজের প্রতিটি পিলার প্রায় ৩০ মিটার গভীর পর্যন্ত থাকবে। কাজেই বোঝাই যাচ্ছে, ব্রিজের গঠন কাঠামোর দিকে যথেষ্ট নজর দেওয়া হচ্ছে। দফতর সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, ব্রিজ পারাপার করতে করতে মানুষ নিচের দিকেও সরাসরি গঙ্গাকে দেখতে পাবেন। তাঁদের মনে হবে গঙ্গার ওপর দিয়েই হেঁটে যাচ্ছেন। রাজ্য ও পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের নয়া নকশায় বলা হয়েছে, নতুন এই ব্রিজটি মোট ৮ মিটার চওড়া এবং ১৩২ মিটার লম্বা হবে। ব্রিজের রাস্তার দুধারে ১.৫ মিটার চওড়া গ্লাস ফ্লোর থাকবে। দুধারেই অত্যন্ত শক্তিশালী গ্লাস ব্যবহার করা হবে। ৩.৫ ইঞ্চি মোটা কাঁচের প্লেট বসানো হবে বলে জানা গেছে।

             এছাড়াও ওম প্রকাশ আরও জানিয়েছেন, লোহার পিলারগুলো গড়ে তোলা হবে অত্যন্ত শক্তিশালীভাবে। ব্রিজের দুধারের বাউন্ডারিতে লোহার রেলিং দেওয়া হবে সুরক্ষার জন্য। যা প্রায় ৭ ফুট লম্বা গ্লাস রেলিং করে দেওয়া হবে। নতুন এই ব্রিজ দিয়ে একদম হালকা গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি।  

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...