আমাদের ভারতের মেয়েরা বিশেষ করে মহিলারা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যে কোনো কাজে নিজেদের প্রতিভা এবং মেধার পরিচয় দিয়ে কাজের জগতের প্রতিটা ক্ষেত্রেই নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে। যত দিন গেছে, ততই তারা বুঝিয়ে দিয়েছে, শুধুমাত্র পুরুষরাই নয়, মহিলারাও সব রকম কাজ করতে সক্ষম। এখন আর মহিলারা শুধুমাত্র ঘরের চৌহদ্দির মধ্যে থেকে শো কেসে নিজেদের পুতুলের মত সাজিয়ে রাখতে পছন্দ করে না- পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কর্ম জগতে নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দেয়। তবে শুধু ভারতেই নয়, ভারতের বাইরেও বিশ্বের আঙিনায় ভারতীয় মহিলারা নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে।
এমনই একজন হলেন উসির পন্ডিত ডুরান্ট। আহমেদাবাদে জন্মগ্রহণকারী উসির, আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির আসনে নির্বাচিত হলেন। তিনিই প্রথম দক্ষিণ এশীয় মহিলা বিচারপতি যিনি এই পদে নির্বাচিত হলেন। মাত্র ১১ বছর বয়সে ১৯৭০-এর দশকে পরিবারের সঙ্গে আমেরিকায় পাড়ি দেন উসির। জীবনের শুরুতে আহমেদাবাদের পাবলিক স্কুলে ইংরেজি না শেখার কারণে আমেরিকায় গিয়ে প্রথম দিকে তিনি বেশ অসুবিধের মধ্যে পড়েছিলেন। কিন্তু দ্রুত সেখানকার মত উপযুক্ত ইংরিজি শিখে নিজেকে মানিয়ে নেন সেখানকার আদপ-কায়দার সঙ্গে। আমেরিকার সেন্ট জন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি নিউ ইয়র্ক ল'স্কুলে তিন বছর পড়াশোনা করেন। সেখান থেকে পাশ করে তিনি যোগ দেন কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি অফিসে। ২০১৫ সালে সেখান থেকেই তিনি নির্বাচিত হন সিভিল কোর্ট বিচারপতি হিসেবে। সেখানেও তিন বছর দক্ষতার সঙ্গে নিজের কর্তব্য পালনের পর তাঁর কাছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হবার সুবর্ণ সুযোগ আসে। বলাই বাহুল্য, তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানও ছিল এক্কেবারে আলাদা। 'ভগবৎ গীতা'য় হাত রেখে তিনি বিচারপতি পদে শপথ নেন।