আমাদের ভারতবর্ষে বয়ঃসন্ধিপ্রাপ্ত কিশোর কিশোরীদের শারীরিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য যতটা সক্রিয় থাকা প্রয়োজন ততটা তারা নয়, সম্প্রতি এক সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে এরকমই একটি ফলফল| জানা গেছে, প্রতি ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য দিনে ১ ঘণ্টা শরীরচর্চা করা বাধ্যতামূলক|
গবেষণা থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালে যারা সেইসময় ফিজিক্যালি ফিট ছিল তাদের নিয়েই হয়েছিল এই সার্ভে|এই সমীক্ষা অনুযায়ী, ছেলেদের মেয়েদের তুলনায় অধিক ফিট থাকতে দেখা গেছে|জানা গেছে, যেখানে ৭৭.৬% ছেলেরা নিষ্ক্রিয় কিংবা ইনঅ্যাকটিভ সেখানে মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪.৭%-তে| ২০১৬ সালের সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের ৭৩.৯% ছেলেমেয়ে অপর্যাপ্ত শরীরচর্চার কারণে স্থুলত্বের শিকার| তাছাড়াও এইকারনের ফলে হার্টের রোগ থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস, মানসিক অসুস্থতা প্রভৃতি রোগ তাদের গ্রাস করতে পারে| পর্যাপ্ত পরিমাণ শরীরচর্চা না করলে ডিপ্রেশনের মতো সমস্যাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে| ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু)-এর মতে, শুধু ভারতেই নয়, মোট ১৪৬টি দেশের মধ্যে ১.৬ মিলিয়ন ছাত্রছাত্রী এইকারণে ডিপ্রেশনের শিকার|
দি ল্যানসেট পত্রিকার সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, এই নিষ্ক্রিয়তা সবথেকে কম বাংলাদেশে (৬৬.১%) তারপরেই নাম আসে আয়ারল্যান্ডের (৭১.৮%), ইউনাইটেড স্টেটস (৭২%)|ইনঅ্যাকটিভিটি যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি রয়েছে তাদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে দক্ষিন কোরিয়া (৯৪.২%), এরপরেই যথাক্রমে রয়েছে ফিলিপিন্স (৯৩.৪%) এবং কম্বোডিয়া (৯১.৬%)|
জানা গেছে, ভারতে সক্রিয়তার মাত্রা বাড়তে শুরু করে ২০১০ সাল থেকে| তখনও পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় মানুষের সংখ্যা ছিল ৭৬.৬% যাদের প্রতিদিন নিয়মিত শরীরচর্চার প্রয়োজন ছিল|অন্ন এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতে সরকারী স্কুলে পাঠরত ছাত্রদের স্থুলতা বেসরকারী স্কুলে যারা পড়ে তাদের থেকে অনেক কম| স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সাইন্সেস’ (এআইআইএমএস) দিল্লির কিছু স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের উপর ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ব্লাড প্রেসার প্রভৃতি নিয়ে একটি সমীক্ষা করে দেখে, প্রাইভেট স্কুলগুলির ছাত্রদের মধ্যে ওবেসিটির লক্ষণ অধিক মাত্রায় প্রকাশিত| সমীক্ষার ফলাফল দেখে তাদের বক্তব্য, যেসব শিশুরা অধিক সময় মোবাইল, ল্যাপটপ বা স্ক্রিনযুক্ত কোনো ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে কাটায় তাদের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তার মাত্রা অনেকটাই বেশি|