দেশের পড়ুয়াদের একসূত্রে গাঁথার নির্দেশ

মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক দেশের উচ্চশিক্ষারত পড়ুয়াদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যুক্ত হতে চাইছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্র বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো কাজের হাল-হকিকত সবার নজরে আনতে চায়। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন এমন প্রায় ৩ কোটি ছাত্র-ছাত্রী তাঁদের ফেসবুক, ট্যুইটার এবং ইস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ও হ্যান্ডেলগুলি মন্ত্রকের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টার সঙ্গে  যুক্ত করতে হবে। দেশের ৯০০টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪০ হাজার কলেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের উপস্থিতি বাড়াক চাইছে কেন্দ্র।

           যদিও কেন্দ্র এটিকে একটি সংযোগের মাধ্যম হিসেবে দেখতে চাইছে, কিন্তু তা নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়েছে। এটাকে নজরদারি করার কৌশল বলে অনেকে মনে করছেন। এ রাজ্যে রবিবার পর্যন্ত কোনো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই সংক্রান্ত কোনো নির্দেশ পাননি বলে খবর। মন্ত্রকের আধিকারিকদের যুক্তি, এর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সম্পর্কে ইতিবাচক খবর জানাতে পারবে। পড়ুয়ারাও কোনও ইতিবাচক কাজ করলে সেই বিষয়ে মন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবে। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক বা আধিকারিককে সোশ্যাল মিডিয়া চ্যাম্পিয়ন বা এসএমসি করতে হবে। তিনিই সেই প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট দেখাশোনা করবেন। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই এসএমসি দের যাবতীয় তথ্যাদি অল ইন্ডিয়া সার্ভে অফ হায়ার এডুকেশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে।

     কিন্তু প্রশ্ন উঠছে অন্য জায়গায়। মন্ত্রকের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা কি বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলছেন, তা পর্যবেক্ষণ করতে পারবে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। যেটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সাবালক হওয়ার পর পড়ুয়াদের নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ তৈরী হবেই। সেই নিয়ে তারা যদি নিজেদের অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত মতামত দেন রাজনৈতিক ব্যাপারে, সেটাও মন্ত্রক জানবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি বিরোধী কোনো পোস্টের বিরূপ প্রভাব যে সেই পড়ুয়ার ওপর পড়বেনা, তার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারছেননা।

     তাই অনেকেরই অভিমত, ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের কাজ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটেই শেয়ার করুক। সেই কাজের জন্য আলাদা জায়গা রাখা হোক। এখন দেখা যাক, এই রাজ্যের জন্য কি নির্দেশ আসতে চলেছে।

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...