জরিমানার অর্থে ভরছে রেল-ভান্ডার

বিনা টিকিটে ট্রেনে উঠলেই জরিমানা’ এই কথাটি সকলের জানা। তা স্বত্বেও প্রতিদিন বহু মানুষ টিকিট না কেটেই ট্রেনে উঠে পড়েন। ফল স্বরূপ দিতে হয় মোটা টাকার জরিমানা। এই জরিমানার টাকা থেকে রেলের আয়ের পরিমাণ শুনলেই অবাক হবেন আপনিও।

সূত্রের খবর গত ৩ বছরে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক যে পরিমাণ অর্থ উপার্যন করেছে তার মধ্যে ১৩০০ কোটি টাকারও বেশি আয় হয়েছে জরিমানা আদায়ের অর্থ থেকে। প্ল্যাটফর্ম হোক বা ট্রেনে, সঙ্গে টিকিট না দেখাতে পেলেই মোটা টাকা আর্থিক জরিমানা দিতে হয় টিকিট পরীক্ষককে। আর দূরপাল্লার ট্রেনে বিনা টিকিটে যাত্রা কালে ধরা পড়লে তো কথাই নেই। জরিমানার অঙ্কটা চড়চড়িয়ে বাড়ে । প্রতি বছরেই জরিমানা আদায়ের বাড়তি আয়ে সমৃদ্ধ হচ্ছে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রকের ভান্ডার।

রেল মন্ত্রক কর্তৃক প্রকাশিত গত বছরের রিপোর্ট মাফিক ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালে জরিমানা থেকে ৪০৫.৩০ কোটি টাকা উপার্জন করে রেল। পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০১৭-২০১৮ সালে বিনা টিকিটের জরিমানা বাবদ রেলের আয় হয় ৪৪১.৬২ কোটি টাকা। তবে এই দুই বছরের জরিমানার টাকার অঙ্ক সাধারণের তুলনায় বহুলাংশে কম ছিল। যেহেতু জরিমানা প্রাপ্ত টাকা রেলের বহু কার্যে ব্যবহৃত হয় তাই জরিমানা আদায়ের বিষয়টিকে কড়া নজরে রাখা হয়। ফল স্বরূপ ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালে জরিমানা প্রাপ্ত টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩০.০৬ কোটি। গত তিন বছরে জরিমানা থেকে রেল মন্ত্রক আয় করেছে প্রায় ১৩৭৭ কোটি টাকা। এই আয় বৃদ্ধির হার প্রায় ৩১ শতাংশ।

বর্তমানে জন পিছু সর্বনিম্ন জরিমানার হার ২৫০ টাকা এবং জরিমানার সঙ্গে দিতে হয় টিকিটের পুরো মূল্য। তবে কোনো ব্যক্তি যদি তার ন্যায্য জরিমানা দিতে অস্বীকার করে তাহলে ১৩৭ নং ধারা অনুযায়ী সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করবে রেল পুলিশ। তার পর সেই ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। তিনি সেই ব্যক্তির থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দাবি করতে পারেন। জরিমানা অনাদায়ে ধৃত ব্যাক্তির ৬ মাসের জেল পর্যন্ত হতে পারে।

জরিমানা আদায়ের বিষয়ে রেল মন্ত্রক বাড়িয়েছে তীক্ষ্ণ নজরদারি। যাতে কোন যাত্রী বিনা টিকিটে যাত্রা কালে টিকিট পরীক্ষকের হাত থেকে না রেহাই পায় কঠোরভাবে সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...