অবশেষে সকল অপেক্ষার অবসান ঘটল! বুধবার অর্থাৎ আজ সকাল ৮টায় আবু ধাবির প্রথম হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধনী হল। এটি হল মুসলিম দেশের প্রথম হিন্দু মন্দির।
এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন এই মন্দিরটি। এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে যে দু’দিনের সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ আল নহয়ানের সাথে বৈঠক করেছিলেন তিনি এবং সূত্র অনুযায়ী সফরের দ্বিতীয় দিনে মন্দির উদ্বোধন করবেন তিনি।
জানা গিয়েছে যে এই স্বামীনারায়ণ মন্দিরটি তৈরি হয়েছে ২৭ একর জায়গা নিয়ে। এই মন্দিরটি দুবাই-আবু ধাবি শেখ জায়েদ হাইওয়ের কাছে আল রভাতে আবু মুরিখা অঞ্চলে অবস্থিত। এছাড়া জানা গিয়েছে ২০১৯ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল এবং এই জমি দান করেছেন আমিরশাহি সরকার। ভিত্তিরস্থাপণের নির্মাণের খরচ হয়েছিল প্রায় ৮০০ কোটি টাকার মতন।
সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছে গোলাপি বেলেপাথর দিয়ে, যা নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজস্থান থেকে। রাজস্থান এবং গুজরাটের শিল্পীরা ২৫০০০ পাথরের উপর খোদাই করে সূক্ষ্ কারুকার্য করে মন্দিরটি তৈরি করেছেন। প্রাচীন মায়া, আজটেক, মিশরীয়, আরবি, ইউরোপিয়ান, চাইনিজ এবং আফ্রিকান সভ্যতার কাহিনি খোদাই করা আছে মন্দির গাইয়ে। শুধু তাই নয়, রয়েছে রামায়ণের কথাও।
এই মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ১০৮ ফুট। সাতটি আমিরশাহির প্রতিনিধিত্ব এবং সাতটি লম্বা শিখর করা রয়েছে। এছাড়া মন্দিরকে ঘিরে সুষ্ঠভাবে বানানো হয়েছে একটি ঘাট। এই ঘাটটি মনে করাবে গঙ্গা এবং যমুনা নদীর ঘাটের কথা। অন্যদিকে, মন্দিরে দুটি কেন্দ্রীয় গম্বুজ আছে, একটি ‘সংহতির গম্বুজ’ এবং অন্যটি ‘শান্তির গম্বুজ’। প্রবেশদ্বারে রয়েছে আটটি মূর্তি যা সনাতন ধর্মের আটটি মূল্যবোধের পরিচায়ক।
এই সুবিশাল মন্দিরের ভিতর রয়েছে একসঙ্গে প্রায় তিন হাজার মানুষ ধরাতে পারা একটি প্রার্থনা ঘর। এছাড়া রয়েছে একটি কমিউনিটি সেন্টার, একটি প্রদর্শনী হল, একটি গ্রন্থাগার এবং একটি শিশুদের পার্ক।