হুগলীর বৈঁচি গ্রামে দুই বিপ্লবীর জন্মস্থানের মাটি পাড়ি দিল দিল্লি। বৈঁচী গ্রামের দুই স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রণব কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও রামকৃষ্ণ বসুর ভিটে থেকে মাটি সংগ্রহ করেন ভারতীয় সেনা।
দিল্লিতে অমৃত বাটিকা তৈরির জন্য বিপ্লবীদের জন্মভূমি থেকে মাটি সংগ্রহ করার কথা জানিয়ে চিঠি আসে গত সপ্তাহে। তারপর আসেন বিএসএফ এর ছয় জওয়ান। বৈঁচি গ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বীর সেনানীদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে সম্মান জানান তাঁরা।
গান্ধীজির নেতৃত্বে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন বিপ্লবী প্রণবকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। তৎকালীন ইউনিয়ন বোর্ডের অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রণব কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও রামকৃষ্ণ বসু পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। প্রথমে হুগলি জেল তারপর প্রেসিডেন্সি জেল, আলিপুর জেলে কারাবাস করে ১৯৪৪ সালে ছাড়া পান। ১৯৭২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাম্রপত্র দিয়ে সম্মান জানিয়েছিলেন।
নেহেরু যুব কেন্দ্রের মাধ্যমে 'মেরি মাটি মেরা দেশ' স্লোগানকে সামনে রেখে বীর সেনানীদের পরিবারবর্গকে সম্মান জানানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্মভূমি ভূমি থেকে মাটি সংগ্রহের কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে। সেখানে অমৃত বাটিকা তৈরীতে সেই মাটি ব্যবহার করা হবে। অমৃত কলস যাত্রা' প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশের সব প্রান্তের মাটি জোগাড় করা হবে। প্রায় সাড়ে সাত হাজার পাত্রে জড়ো করা হবে সেই মাটি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই মাটি একত্রে মিশিয়ে বসানো হবে নতুন গাছের চারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা হবে চারা গাছ। দিল্লিতে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালের কাছে এই ভাবেই 'অমৃত বাটিকা'।
১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন, আন্দোলন করতে গিয়ে কারাবাস করতে হয়েছে এমন বিপ্লবীদের পরিবারকে সম্মান জানানো হবে এই উদ্যোগের মাধ্যমে।
সুভাষগ্রামের মাটিও সংগ্রহ করা হয়েছে। ‘মেরা মাটি মেরা দেশ’ কর্মসূচির জন্য কোদালিয়ায় সুভাষচন্দ্রের বাড়ি থেকে মাটি সংগ্রহ করা হয়।