India population vs China: জনসংখ্যা গণনায় ভারত চিনের থেকেও এগিয়ে?

বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যা সম্পর্কিত রিপোর্ট প্রকাশ করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। ২০২৩ সালের রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফ থেকে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে 'ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অফ ইকনোমিক এন্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স’।

হাইলাইটসঃ  

১। ভারতের জনসংখ্যা আরও বাড়বে।

২। ভারত ও চিনের মধ্যে জনসংখ্যার পার্থক্য প্রায় ২০ লক্ষ-র।

৩। ২০৬০ সাল নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা হবে সবথেকে বেশি।

ভারতের জনসংখ্যা বিগত কিছু বছর ধরে বৃদ্ধি হয়েছে। পূর্বে পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ ছিল চীন। এখন সেই জায়গায় চীনকে সরিয়ে ভারত, সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে তকমা পেয়েছে। চীনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লক্ষ আর সেখানে ভারতের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লক্ষ অর্থাৎ দুই দেশের মধ্যে জনসংখ্যার পার্থক্য প্রায় ২০ লক্ষ-র।

তবেই ভারতের জনসংখ্যা আরও বাড়বে বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ রিপোর্ট। রাষ্ট্রপুঞ্জের 'ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টর ২০২৪' রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০৬০ সাল নাগাদ ভারতের জনসংখ্যাই হবে সব থেকে বৃহত্তর। ১৪২ কোটি থেকে এই জনসংখ্যা ধীরে ধীরে পৌঁছাবে প্রায় ১৭০ কোটিতে। তবে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ এই জনসংখ্যা হতে পারে প্রায় ১৪৫ কোটি।

তবে এই বৃদ্ধির পরেই ধীরে ধীরে কমতে থাকবে জনসংখ্যা। ২০৬০ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পর তা কমবে প্রায় ১২ শতাংশ। অনুমান করা হচ্ছে, ২১০০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হতে পারে ১৫০ কোটি। ২০৬০ সালের পর  চীনের জনসংখ্যাও ১২০ কোটিতে নামতে পারে এবং ২১০০ সালে তা ৬৩ কোটিতে গিয়ে পৌঁছাবে। এই তালিকায় ভারত এবং চীনের পরেই থাকতে পারে আমেরিকা। এই সময়ের মধ্যে জাপানে ২ কোটি ও রাশিয়ায় ১ কোটি জনসংখ্যা কমতে পারে।

জনসংখ্যা অত্যাধিক বৃদ্ধির কারণে চীনে 'এক সন্তান নীতি-র' উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে চীনের জনসংখ্যা অত্যাধিক কমতে থাকে। কিন্তু তারপর এই অস্বাভাবিক হ্রাস রুখতে একের বেশি সন্তান নেওয়ার কথা চীন প্রচারিত করছে। জনসংখ্যা তথ্যে প্রকাশিত হয়েছে ভারতীয় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও থমকে গেছে। পূর্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১.০৭ শতাংশ যা ২০১১ সালের পর ১.০২ শতাংশ হয়েছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...