বারবার পট পরিবর্তন হচ্ছে বিশ্বকাপে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে হেরে ধাক্কা খেয়েছে রোহিত শর্মার ভারত। বাংলাদেশ এবং জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে বাকি দু’টি ম্যাচে জিতলে তবেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে ভারতের।
ভারতের এখনও দু’টি ম্যাচ বাকি। আগামীকাল তারা খেলবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। আগামী রবিবার শেষ ম্যাচে জ়িম্বাবোয়ের মুখোমুখি হবে তারা। এই দু’টি ম্যাচের মধ্যে যে কোনও একটি ম্যাচে ভারত হেরে গেলেই রোহিত শর্মাদের শেষ চারে যাওয়ার অঙ্ক কঠিন হয়ে যাবে।
গ্রুপ ২-এ শেষ চারে যাওয়ার দৌড়ে এখনও সমান ভাবে রয়েছে পাঁচটি দল। দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, বাংলাদেশ, জ়িম্বাবোয়ে ও পাকিস্তানের মধ্যে যে কোনও দুই দল সেমিফাইনালে উঠতে পারে। খাতায়কলমে কাউকে বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। তাই নিজেদের দু’টি ম্যাচেই জিততে হবে ভারতকে। না হলেই শেষ চারে ওঠার আগে বাদ হয়ে যেতে পারে ভারত।
ভারতকে হারিয়ে গ্রুপ এখন শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের একটি ম্যাচ বৃষ্টির জেরে ভেস্তে যাওয়ায় ৩টি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট ৫। নেট রানরেটে অনেকটা এগিয়ে তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার নেট রানরেট +২.৭৭২। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যাওয়ায় পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে ভারত। ৩টি ম্যাচে রোহিত শর্মাদের পয়েন্ট ৪। তাদের নেট রানরেট +০.৮৪৪। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ। ৩টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের পয়েন্টও ৪। ভারতের সমান পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে বাংলাদেশ। শাকিবদের নেট রান রেট -১.৫৩৩।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হেরে যাওয়ায় ৩টি ম্যাচ খেলে ৩ পয়েন্ট জ়িম্বাবোয়ের। তারা রয়েছে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে। পাকিস্তানকে হারিয়ে চমকে দেওয়া ক্রেগ আরভিনদের নেট রান রেট -০.০৫০। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে পাকিস্তান জিতলেও পয়েন্ট তালিকায় তাদের জায়গার কোনও পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ পাঁচ নম্বরেই রয়েছেন বাবর আজমরা। ৩টি ম্যাচ খেলে পাকিস্তানের পয়েন্ট ২। তাদের নেট রানরেট +০.৭৬৫। অন্য দিকে নেদারল্যান্ডস ৩টি ম্যাচ খেলে ৩টিতেই হেরেছে। বৃষ্টির জন্য তাদের কোনও ম্যাচ বাতিল হয়নি। তাদের পয়েন্ট শূন্য। নেট রানরেটেও সব থেকে পিছনে তাঁরা। নেদারল্যান্ডসের নেট রান রেট -১.৯৪৮।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথমে খারাপ ব্যাটিং ও তার পরে খারাপ ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিতে হয় ভারতকে। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের গতি ও বাউন্স ভারতীয় ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলল। তার মধ্যেই দুর্দান্ত অর্ধশতরান করেন সূর্যকুমার যাদব। ভারতীয় বোলাররাও দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন। কিন্তু সহজ ক্যাচ ছাড়লেন বিরাট কোহলি। সহজ রান আউট মিস্ করলেন রোহিত। তার খেসারত দিতে হল। শেষ পর্যন্ত হেরে মাঠ ছাড়তে হল ভারতকে।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত। কিন্তু শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। উইকেটের গতি ও উচ্চতা কাজে লাগিয়ে লেংথ বল করতে থাকেন কাগিসো রাবাডারা। ফলে হাত খুলে খেলতে পারছিলেন না রোহিতরা। পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে ভারতকে পিছনে ঠেলে দেন লুনগি এনগিডি। একই ওভারে প্রথমে রোহিত ও পরে রাহুলকে আউট করেন তিনি।
তিন নম্বরে নামা বিরাট কোহলি কয়েকটি ভাল শট খেললেও এনগিডির বাউন্সারে পুল মারতে গিয়ে ফাইন লেগে রাবাডার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এই ম্যাচে অক্ষর পটেলের বদলে দীপক হুডাকে খেলিয়েছিল ভারত। কিন্তু তিনিও কিছু করতে পারলেন না । শূন্য রান করে সাজঘরে ফিরলেন। রান পাননি হার্দিক পাণ্ড্যও। মাত্র ৪৯ রানে ভারতের ৫ উইকেট পড়ে যায়।
দেখে মনে হচ্ছিল, ১০০ রানের গণ্ডি পেরোতেও সমস্যায় পড়বে ভারত। কিন্তু দলকে একা টানলেন সূর্যকুমার। তাঁকে সঙ্গ দিলেন দীনেশ কার্তিক। তিনি বেশি রান না করলেও টিকে থাকলেন। দু’জনের মধ্যে ৫২ রানের জুটি হয়। অর্ধশতরান করেন সূর্য। নিজের স্বাভাবিক ছন্দে খেললেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি অন্য পিচে খেলছিলেন। মাত্র ৩০ বলে নিজের অর্ধশতরান করলেন তিনি।
একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল, ১৫০ রান করে ফেলবে ভারত। কিন্তু কার্তিক ও সূর্য আউট হয়ে যাওয়ায় শেয দিকে রান কম হল। সূর্য করলেন ৬৮ রান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান করল ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকাও। নিজের প্রথম বলেই কুইন্টন ডি’কককে আউট করেন আরশদীপ সিংহ। সেই ওভারেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচে শতরান করা রিলি রুসো। অধিনায়ক বাভুমাও রান পাননি। তাঁকে আউট করেন শামি। পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর খেলার হাল ধরেন আইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলার। শুরুতে কিছুটা ধীরে খেললেও ১০ ওভারের পরে হাত খোলা শুরু করেন তাঁরা। হার্দিকের এক ওভারে ১৬ রান ওঠে। সেই এক ওভারেই খেলা ঘুরতে থাকে। জরুরি রানরেট কমতে থাকে।
পেসাররা ভাল বল করায় স্পিনার অশ্বিনকে নিশানা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। তাঁর এক ওভারে দু’টি ছক্কা মারেন মিলার ও মার্করাম। খেলা ধীরে ধীরে ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে যেতে থাকে। সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হয় ভারতকে। অর্ধশতরান করেন মার্করাম। যদিও তার পরেই হার্দিকের বলে তাঁকে সাজঘরে ফিরতে হয়। মিলার দলকে জয়ে নিয়ে যান। অর্ধশতরান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারের পিছনে ফিল্ডিংকে দায়ী করছেন সকলে। ব্যতিক্রম নন রোহিত শর্মাও। ভারত অধিনায়ক বলেই দিলেন দলের খারাপ ফিল্ডিংয়ের কথা। ১৩৩ রানের পুজি নিয়ে লড়তে গেলে ফিল্ডিং ভাল করা জরুরি। সেটাই পারলেন না রোহিতরা। যে দলে বিরাট কোহলির মতো ফিল্ডার রয়েছেন, তাঁরাই ডোবালেন ভারতকে। এর পিছনে কি পার্থের ঠান্ডা দায়ী?
ম্যাচ শেষে রোহিত কোনও অজুহাত দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, “কোনও অজুহাত দেব না। সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেছি। এরকম ঠান্ডাতে আগেও খেলেছি আমরা। রান আউটের সুযোগ ফস্কেছি। আমি নিজেই সহজ সুযোগ পেয়েছিলাম। আমাদের আরও ধারাবাহিক হতে হবে ফিল্ডিংয়ে।” ১২তম ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ক্যাচ ফেলেন বিরাট। দিনের সহজতম ক্যাচ সম্ভবত ওটাই ছিল। কিন্তু বল ধরতেই পারলেন না ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় অশ্বিনকেও। পরের ওভারে মহম্মদ শামির ওভারে রান আউটের সুযোগ ফস্কান রোহিত। স্টাম্পের কাছে পৌঁছে গিয়েও বল উইকেটে লাগাতে পারলেন না ভারত অধিনায়ক।
রবিবার প্রথম একাদশে দীপক হুডাকে নেন রোহিত। সেই সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক ছিল সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রোহিত বলেন, “এই আবহাওয়ায় এমন পিচই আশা করেছিলাম আমরা। পেসাররা এই পিচে সাহায্য পাবে সেটা জানতাম। সেই কারণে ১৩০ রান তাড়া করে জেতা সহজ ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করলাম। ডেভিড মিলার এবং এডেন মার্করাম খুব ভাল খেলেছে। কিন্তু ফিল্ডিংটাই ভাল হল না আমাদের।”
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনিশ্চিত দীনেশ কার্তিক। পিঠের পেশিতে টান ধরায় দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে তিনি শেষের দিকে আর উইকেটকিপিং করতে পারেননি। ১৬ ওভার থেকে ঋষভ পন্থকে উইকেটের পিছনে দাঁড়াতে হয়। কার্তিক মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কার্তিক খেলতে না পারেন তা হলে দলের আসার কথা পন্থেরই।
কার্তিকের চোট কতটা গুরুতর, তা এখনও জানা যায়নি। সাধারণত পিঠের পেশিতে টান ধরলে সারতে তিন থেকে পাঁচ দিন লাগে। মনে করা হচ্ছে, পার্থে প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণেই চোট পেয়েছেন কার্তিক। দলের এক সূত্র সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “কার্তিকের কোমরে ব্যথা লেগেছে। আমরা এখনও চোটের প্রকৃতি জানতে পারিনি। হিট ট্রিটমেন্ট এবং ম্যাসাজ করে ওকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চলছে। এখনই ওর ছিটকে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।”
ভারতীয় দলে ফিনিশারের ভূমিকায় খেলছেন দীনেশ কার্তিক। কিন্তু তাঁর দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগ। সেওয়াগ বলেছেন, ‘‘এটা প্রথম দিন থেকে ভাবা উচিত ছিল ভারতের। কার্তিক ভারতে খেলেছে। ভারতে রান করেছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কবে খেলেছে? কবে রান করেছে? এটা চিন্নাস্বামীর উইকেট নয়।’’ তার পরেই পন্থের প্রসঙ্গ টেনেছেন সেওয়াগ। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি এখনও বলছি, দীপক হুডার জায়গায় পন্থকে খেলানো উচিত ছিল। ও অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ওদের বিরুদ্ধে রান করেছে। অস্ট্রেলিয়ার অহঙ্কার ভেঙেছে। অস্ট্রেলিয়ায় পন্থ অনেক বেশি সফল।’’
তাঁর মতে, শেষ সিদ্ধান্ত নিতে হবে ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে। তাই তারা কী ভাবছে সেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেওয়াগ বলেছেন, ‘‘আমি শুধু আমার কথাটা বলতে পারি। এ বার কাকে খেলানো হবে সেই সিদ্ধান্ত ম্যানেজমেন্টের। যদি কার্তিক সুস্থ হয়ে যায় তা হলে হয়তো পরের ম্যাচেও একই ছবি দেখতে পাব। ওকেই হয়তো আবার খেলানো হবে। তবে আমি বার বার বলব, ভারতের প্রথম একাদশে পন্থকে খেলানো উচিত।’’
কার্তিকের চোটের পরে ভারতীয় সমর্থকদের প্রশ্ন বাকি ম্যাচগুলিতে তাঁকে পাওয়া যাবে তো? তার উত্তর দিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। ভারতীয় পেসার বলেছেন, “পিঠে সমস্যা রয়েছে কার্তিকের। ম্যাচের পর আর ওর সঙ্গে দেখা হয়নি। হোটেলে ফিরে কথা বলব ওর সঙ্গে। ফিজিয়ো কী বলছে সেটাও জানতে হবে।”
বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সে ভাবে ব্যাট হাতে রান পাননি কার্তিক। উইকেটের পিছনে দলকে ভরসা দিচ্ছিলেন। যদিও নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সহজ সুযোগ হারান তিনি। সেই কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামার আগে আলাদা করে অনুশীলন করেন কার্তিক। উইকেটের পিছনে তিনি যাতে নিজের সেরাটা দিতে পারেন, সেই দিকে নজর দিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়রা। পার্থে অনুশীলনে দেখা গিয়েছিল কার্তিকের সঙ্গে আলাদা করে সময় দিচ্ছেন ফিল্ডিং কোচ টি দিলিপ। ‘ব্লাইন্ড ড্রিলস’ করেন কার্তিক। এমন কোণ থেকে বল ছোড়া হয় যেখানে উইকেটরক্ষক বলটিকে শেষ মুহূর্তের আগে দেখতে পাবেন না। ব্যাটারের কারণে ঢেকে যায় বলটি। এমন অবস্থায় উইকেটরক্ষকের অনুমান ক্ষমতার উপর নির্ভর করতে হয়। সেটারই অনুশীলন করছিলেন কার্তিক।
রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পিঠে চোট পাওয়ার পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২ নভেম্বর কার্তিক খেলতে পারবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। ভারতীয় দলে ঋষভ পন্থ থাকায় যদিও উইকেটরক্ষা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না ভারতকে। দিল্লির বাঁহাতি ব্যাটার নেটেও অনুশীলন করছেন নিয়মিত। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনও প্রথম একাদশে খেলেননি তিনি। রবিবার উইকেটরক্ষা করতে দেখা গেল তাঁকে। তার আগে নেটে পন্থকে দেখা গিয়েছিল বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করতে। একের পর এক বোলারের বিরুদ্ধে তাঁকে একই ভাবে ব্যাট করতে দেখা গিয়েছিল। এখন দেখার পরের ম্যাচে কার্তিকের জায়গায় পন্থকে দেখা যায় কি না।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়ার উপর ভরসা রাখা যাচ্ছে না একেবারেই। চলতি বিশ্বকাপে ভারতের একটিও ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে না গেলেও বুধবার সেই সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, বুধবার অ্যাডিলেডে ভালই বৃষ্টি হতে পারে।
এ বারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত অ্যাডিলেডে কোনও খেলা হয়নি। বুধবারই প্রথম বার খেলা হবে। সকালের ম্যাচে নেদারল্যান্ডস খেলবে জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে। পরের ম্যাচেই ভারত নামবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ওই দিন সকাল থেকে আকাশ থাকবে মেঘাচ্ছন্ন। বিকেলের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৬০ শতাংশ বৃষ্টি হতে পারে। বিকেলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে বইবে হাওয়াও।
ভারতের খেলা যদি এক দিন আগে থাকত তা হলে আরও বেশি ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সে দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ১০০ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিকেলের দিকে গতিবেগ একটু কমতে পারে। কিন্তু বজ্রবিদ্যুৎ এবং শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার ৬ থেকে ১৫ মিমি বৃষ্টি হতে পারে। সোমবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ৯৫ শতাংশ বৃষ্টি হতে পারে।
অ্যাডিলেডে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলা হবে। এর মধ্যে আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজ়িল্যান্ডের খেলাও রয়েছে। পাশাপাশি পাকিস্তান একটি ম্যাচ খেলবে। একটি সেমিফাইনালও হওয়ার কথা। ফলে আগামী দিনে অ্যাডিলেডে বৃষ্টি হলে অনেক অঙ্কই বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা।
নিবন্ধকারঃ ঋদ্ধি রিত