দেশের প্রথম থ্রি-ডি সিগন্যাল ইন্সটল করা হল চণ্ডিগড়ের মোহালিতে। এই অত্যাধুনিক সিস্টেমটি আবিষ্কার করেছেন চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পড়ুয়া। শুক্রবার, মোহালির এয়ারপোর্ট রোডে তার কার্যকরী রূপ দেওয়া হয়। এর ফলে যানজট মোকাবিলা অনেকটাই সহজ হবে বলে মনে করছেন রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর।
গবেষক ছাত্রদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন এই ওয়্যারলেস সিগন্যাল ব্যবস্থাটির নাম 'ইন্টেলাইট্স', যা স্মার্ট বার্ডস আই ভিউ ওয়্যারলেস সেন্সার সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত হবে। বিগত তিন বছর ধরে দীর্ঘ গবেষণার পর অবশেষে এই নতুন থ্রি-ডি ট্রাফিক সিগন্যাল নির্মানে সক্ষম হয়েছেন চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
“প্রথাগত পদ্ধতি অনুসারে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করাটা অত্যন্ত শ্রমসাপেক্ষ ও দ্বিমাত্রিক। ট্রাফিক সিগন্যালগুলি পুর্ণমাত্রায় সক্রিয় রাখতে দেশে প্রথমবার এই ধরণের থ্রি-ডি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হল। তাছাড়া অর্থনৈতিকভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও এটি একটি দারুণ উদ্যোগ,” বলছেন ডঃ শরদ সত্য চৌহান, ADGP (ট্রাফিক)।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাজ্যসভা কর্তৃক একটি সংশোধনী বিল পাশ করা হয়েছে যা রাজ্যসভাকে ইলেক্ট্রনিক মনিটরিং ও জাতীয় সড়কগুলিতে সড়ক সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
নতুন সিস্টেমটিতে সেন্সর বসানো থাকবে, যা ঐ নির্দিষ্ট মোড় থেকে আসা যানবাহনের সংখ্যা মূল্যায়ন করতে পারবে এবং সেই মূল্যায়নের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয় ভাবে লাল ও সবুজ বাতিগুলি জ্বলে উঠবে। এর ফলে স্বভাবতই দীর্ঘক্ষণ ট্র্যাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকার হাত থেকে রেহাই পাবেন যানচালক তথা নিত্যযাত্রীরা। পাশাপাশি এই সিগন্যালিং ব্যবস্থায় নতুন একটি বিষয় যোগ করা হয়েছে, আপতকালীন পরিস্থিতিতে ‘গ্রীন করিডর’ এর মাধ্যমে যে কোনো অ্যাম্বুলেন্স দ্রুততার সাথে হাসপাতালে পৌঁছে যেতে পারবে।
শুক্রবার মোহালিতে, পাইলট প্রজেক্টে সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর এখন মোহালির ৪৫০টি ট্র্যাফিক সিগন্যালে এই থ্রি-ডি সিগন্যাল পরিষেবা লাগু করা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন দেখার বিষয়, চন্ডিগড়ের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতে কবে এই ‘থ্রি-ডি’ পরিষেবা আসতে চলেছে।