পরিবেশ দূষণ নিয়ে চিন্তিত সারা বিশ্ব। দূষণ নিয়ন্ত্রণে এনে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে বদ্ধ পরিকর প্রায় সকলেই। জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন তেল কয়লার ব্যবহার এবং লক্ষ্যণীয় মাত্রায় কার্বন নির্গত হয় এমন কিছু ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে চাইছে বেশ কিছু দেশ। তাদের উদ্দেশ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে ফেলতে হবে। এই ধরণের শক্তির ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম হল সোলার শক্তি। সূর্যালোক থেকে প্রাপ্ত জ্বালানি চাহিদাই হল সোলার শক্তি।
ভারত থেকেই প্রথম সোলার এনার্জি ব্যবহারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৫ সালে বিশ্বের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয় সূর্যালোকের ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চ গঠন করা হোক। ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলায়েন্স ২০১৬-য় অংশগ্রহণ করতে মরক্কোতে যোগদান করে ১২১টি দেশ। আগামীতে ক্লিন এনার্জি ব্যবহার আরো সহজ করতে সোলার ব্যাঙ্ক পরিকল্পনার কথা জানান, ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলায়েন্স এর অধিকর্তা উপেন্দ্র ত্রিপাঠি। তিনি জানান আগামীতে ভারত সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে দূষণহীন জ্বালানি পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই তৈরী হবে সোলার ব্যাঙ্ক। দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানি চাহিদার ২০ শতাংশ পাওয়া যায় পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির মাধ্যম থেকে।
বিশ্বব্যাংকের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০৪০ সালের ভিতর পৃথিবীর প্রায় ৬০ কোটি মানুষ জ্বালানি ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হবে। সম্প্রতি দিল্লিতে 'সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট'-এর আয়োজিত একটি সভায় ত্রিপাঠি জানান, আগামীতে সঙ্কট এড়াতে ক্লিন এনার্জির উৎপাদনের পরিকাঠামো তৈরী করতে হবে। কিন্তু ক্লিন এনার্জি খাতে বিনিয়োগের হার এখনো আশাজনক নয়। বিনিয়োগের মাত্রা বৃদ্ধিতে আর কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সেটা বিবেচনা করে দেখছে ভারত।
২০২২ সালের ভিতর ভারতের লক্ষ্য ১৭৫ গিগাবাইট ক্লিন এনার্জি উৎপাদন করা। ভারতেই হরিয়ানার গুরুগ্রামে 'ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলিয়েন্স' এর মূল দপ্তর অবস্থিত। ২০১৫ সালের প্রস্তাবে জানানো হয়, সারা বছর ৩০০ দিন গড়ে সূর্যালোক পায় এমন দেশ সক্রিয় ভাবে সোলার শক্তি উৎপাদনে অংশগ্রহণ করতে পারে। আন্তর্জাতিক যুক্ত মঞ্চে এই শর্তে যোগ দেয় বিশ্বের ১২১ টি দেশ। ভারতের পাশে সোলার এলায়েন্স-এ যোগ দিয়েছে যেসব দেশ তাদের ভিতর উল্লেখ্য জাপান,নিউজিল্যান্ড, ব্রাজিল, চিন এবং ফ্রান্স।