ঘুম আসে না?
ছটফট করেন?
বিছানায় শুলেই রাজ্যের চিন্তা?
দিনের পর দিন রাত কেটে যায়, চোখের পাতা ভারি। কিন্তু ঘুমের দেখা নেই। পরদিন মাথার যন্ত্রনা। কাজের এনার্জি তলানিতে। ফেসবুকে স্টেটাস ‘ঘুম চাই, ঘুম’।
ভাবছেন ইনসোমনিয়া ভুগছেন। ঘুমের ওষুধে মুশকিল আসান। কিন্তু এই সমস্যা আপনার একার নয়।
দেশের সিংহভাগ মানুষ আপনার মতোই ‘ঘুম নেই’ সমস্যায় ভুগছেন।
সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এসেছে এক সদ্য প্রকাশিত সমীক্ষায়।
দেশের দশটি শহরে করা হয়েছিল সমীক্ষা। তাতে দেখা গিয়েছে বেশির ভাগ শহরেই বদলে গিয়েছে মানুষের ঘুমের অভ্যাস। তার সঙ্গে সময়ও।
সাধারণভাবে বলা হয় আট ঘন্টা ঘুম শরীরের দৈনিক ক্ষয় পূরণের জন্য জরুরী। কিন্তু আজকাল কেউই আর সেই কোটা সম্পূর্ণ করে উঠতে পারে না।
২৫-৩৫ বছর বয়সী মহিলাদের ঘুমের সময় সীমা নেমে দাঁড়িয়েছে ৬ ঘন্টাতে। কর্মবিরতি অর্থাৎ ছুটির দিনগুলোতেও ছবিটা খুব একটা বদলায় না। ছেলেদের ক্ষেত্রে ৭ ঘন্টা।
সব সময় যে কাজের চাপ বা টেনশনই ঘুম কমে যাওয়ার একমাত্র কারণ, তা নয়।
রাতের বেলা বিছানায় শুয়ে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাব নিয়ে নাড়াঘাঁটার কারণেও ঘুমের সময় কমে।
সমীক্ষায় বেশির ভাগ মানুষ জানিয়েছেন ঘুমাতে যাওয়ার সময় তাদের সঙ্গী হয় সঙ্গের স্মার্টফোনটি। মেসেজ চেক বা চ্যাট করতে করতে কখন যে রাত কাবার খেয়াল থাকে না।
২০ শতাংশ মানুষের ঘুম কমার কারণ সামাজিক- অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা।
রাতে ঘুম না হওয়ার রেশ থেকে যায় দিনের বেলাতেও। অনেকেই কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঘুমের ফাঁকটুকু পুশিয়ে নিতে চান। কিন্তু রাতের ঘুমের শান্তি সেখানে অধরা।
ব্যাকপেইন, অ্যাংজাইটি, রক্তচাপের সমস্যার মতো একাধিক অসুস্থতা তৈরি হয় ঘুম না হওয়া থেকে।
দেশের ১০ টি শহরের মধ্যে ঘুমহীন শহর হিসেবে শীর্ষ স্থানে আছে চেন্নাই। তারপরেই যথাক্রমে বেঙ্গালুরু, ভুবনেশ্বর এবং আমেদাবাদ।