এই প্রথমবার ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী অরুণাচল প্রদেশের ফিশ টেইল ২-তে 'সমঝোতা নজরদারি' কো -অর্ডিনেট পেট্রোলিং চালাল। অরুণাচল প্রদেশের দক্ষিণ-পূর্বের ১৩টি বিতর্কিত এলাকার মধ্যে এই এলাকাটি অন্যতম। এর ফলে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং এলাকার শান্তিরক্ষা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সমঝোতা পেট্রোলিং-এর অর্থ দুই বাহিনীই পেট্রোলিং থেকে বেরোনোর সময়ে একে অন্যকে নিজেদের গতিবিধির কথা জানিয়ে দেবে। ডোকলামে ভারত ও চীন সেনার মধ্যে ৭৩ দিন ধরে চলা সমস্যার পর এই পদক্ষেপ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
দক্ষিণ-পূর্ব অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত দেখতে অনেকটা মাছের ল্যাজের মতো। তাই এই এলাকার নাম রাখা হয়েছে ফিশ টেইল ১ এবং ফিশ টেইল ২। অঞ্চলটি হিমবাহে ঢাকা। ভারতের শেষ সেনা ছাউনি থেকে এখানে পেট্রলিং-এর জন্য বাহিনী আসতে এক মাসেরও বেশি সময় লেগে যায়। রাস্তার অবস্থাও যথেষ্ট খারাপ। চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মিকে গত জুন মাসে ফিশ টেইল ২ তে ভারত সমঝোতা নজরদারির প্রস্তাব দেয়। চীনা সেনা সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছিল। সম্প্রতি তামিলনাড়ুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিংপিয়াং-এর যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেখানেই এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।