জীবন শুরু হয়েছিল পৃথিবীর সেরা শহরে। কিন্তু মানুষের সভ্যতা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। তাই বেছে নিয়েছিলেন জঙ্গলের জীবন। বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবেও হাত ধরেছিল জঙ্গলের বাসিন্দারাই। শুনে মনে হবে গল্প বা সিনেমা। কিন্তু এই কাহিনি ঘোর বাস্তব।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনসি প্রদেশের ঘটনা। এক মার্কিন সংবাদ চ্যানেল নাচেজ ট্রেস জাতীয় উদ্যানে আবিষ্কার করে জঙ্গল মানব টেনিকে। ১৬ বছর আগে সভ্যতার টান ছেড়ে এসে সে আশ্রয় নিয়েছিল নাচেজ ট্রেস জাতীয় উদ্যানে। তার সঙ্গী বলতে ছিল ৩১ টি কুকুর। স্থানীয় মানুষ টনির নাম দিয়েছিল ‘মাউন্টেন ম্যান’। কুকুরদের নিয়েই থাকত মাউন্টেন ম্যান।
টনির পরণে কার্গো প্যান্ট। গায়ে মলিন পুলওভার। সাদা দাড়ি ঢাকা মুখ। একাই থাকত সে। টনি ডাকলে ছুটে আসত সারমেয়রা। অসম্ভব ভালবাসা ছিল তাদের প্রতি। এই অবোধ প্রাণীদের মধ্যে প্রিয়জন খুঁজে পেয়েছিলেন। এই সারমেয়ওরা তাঁর পোষ্য ছিল না কিন্তু, স্বাধীনভাবেই ঘুরে বেড়াত জঙ্গলে।
ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন টনি। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে চেয়েছিল প্রশাসন। এ ব্যাপারে টনি একটা শর্তই দিয়েছিলেন তাদের। তাঁর চিকিৎসা হলে প্রিয় সারমেয়দেরও চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া চাই। মেনে নেওয়া হয় শর্ত। অ্যানিমেল রেসকিউ কর্পোরেশন ৩১ টি সারমেয়কে দত্তক নেয়। তাদের টনি নিজেই রেসকিউ কর্মীদের হাতে তুলে দেন। ২০০০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সম্প্রতি তাঁর কথা প্রকাশ করা হয়।
টনি এখন কোথায়, কী ছিল তার অতীত কেউ জানে না। কিন্তু তার জীবনবোধ দেখে মুগ্ধ হয়েছে দর্শকরা।