টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এবারে মোবাইল ফোনের রিং টোনের জন্য সর্বাধিক ৩০ সেকেন্ড ধার্য করে দিল। ওই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অপারেটাররা যাতে ইনকামিং ভয়েস অ্যালার্ট কখনোই ৩০ সেকেন্ডের বেশি না রাখে। যে সময়টি ধার্য করা হয়েছে, তার মধ্যে ফোন রিসিভ করলেই ছবি, আর যদি ওই সময়ের মধ্যে ফোন রিসিভ না করা হয়, তাহলে ওই সময় অব্দি ফোন বেজে বন্ধ হয়ে যাবে। উক্ত নম্বরে কাউকে পাবার জন্য আবার রিং করতে হবে।
এতদিন অব্দি বিভিন্ন অপারেটিং সংস্থা বিভিন্ন রকম সময় ধার্য করে নিয়েছিল নিজেদের রিং টোনের সময় রাখার জন্য। যেমন ভারতী এয়ারটেল-এর রিং টোন ৪৫ সেকেন্ড অপরদিকে জিও তাদের রিং টোন বেঁধে রেখেছে ২০-২৫ সেকেন্ডের মধ্যে। ভোডাফোন-আইডিয়া তাদের রিংটোন বেঁধেছে ৩০ সেকেন্ডে। এমন অপারেটরও রয়েছে, যারা ৯০ সেকেন্ড অব্দি রিং টোন ধরে রেখেছে। সময়মতো কল রিসিভ না করা হলে সেক্ষেত্রে রিংটোন যদি বেশিক্ষণের হয়, তাহলে স্পেকট্রাম রিসোর্স-এর ক্ষতি হয় বলেই জানাচ্ছেন জিও'র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিপাল সিং। গত ১৬ সেপ্টেম্বর এই বিষয় নিয়ে একটি দীর্ঘ বক্তব্য রেখেছে ট্রাই। তবে মহিপাল সিং-এর মতে ৯৪% জিও নেটওয়ার্কে কল আনসারেবল হয়ে যায় ২৫ সেকেন্ডের মধ্যেই।
একটি বিষয় নিয়ে অনেকেই একমত, কল রিসিভ করতে যে সময় লাগে, তার মূল কারণ হল নেটওয়ার্কের সমস্যা। যদি একটি অপারেটরের কাছ থেকে অন্য অপারেটরের কাছে ফোন যায়, তাহলে নেটওয়ার্কের সমস্যা দেখা দেয় প্রায়শই। এক একটি অপারেটর কোম্পানির এক এক রকম কল টোনের সময় থাকায় এই সমস্যা দেখা দেয়। এয়ারটেল, ভোডাফোনের আউটগোয়িং কলের তুলনায় ইনকামিং কলে বেশি ট্রাফিক থাকে বলে জানাচ্ছে ওই সংস্থার কর্তারা। এছাড়াও ইন্টারকানেক্ট ইউসেজ চার্জ বা আইইউসি চার্জ বর্তমানে প্রতি মিনিটে ৬ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এছাড়াও কোনো গ্রাহক যদি তাঁর কাছে আগত কোনও ফোন কল রিসিভ করতে না চান তাহলে বেশিক্ষণ রিং টোন বাজলে তার কাছে তা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সেক্ষেত্রে কম সময় রিং টোন বাজলে অসুবিধে কম।