সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক এখন বইয়ের সৌরভে পূর্ণ। কারণ আজ বৃহস্পতিবার থেকেই সেখানে শুরু হচ্ছে কলকাতা বইমেলা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে কাউন্টডাউন। বুধবার দিন-রাত এক করে স্টল নির্মাণের কাজ চললেও অসম্পূর্ণ থেকে গেছে কয়েকটি স্টল নির্মাণের কাজ। মেলা নিয়ে ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধনের আগে পর্যন্ত স্বস্তি নেই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটেরও। লক্ষ লক্ষ মানুষের পদধূলি পড়তে চলেছে এই বইমেলায়। তাই তাদের নিরাপত্তার দিকটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দর্শকের বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই বইমেলার এবারের থিম দেশ গুয়েতেমালা। বইমেলায় এবার প্রধান অতিথি হয়ে আসছেন গুয়েতেমালার লেখক প্রফেসর উদা মোরালেস। এখানে উপস্থিত থাকবেন লেখক শংকর, গুয়েতেমালার রাষ্ট্রদূত, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত, একঝাঁক মন্ত্রী এবং লেখকবৃন্দও। আগামী ১১ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত দুপুর ১২টা থেকে রাট ৮টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা।
গত বছর থেকে সেন্ট্রাল পার্কে বইমেলার আয়োজন হলেও এই বছর প্রথমবার তারা বইমেলার অভ্যন্তরের অনুষ্ঠান বাইরে সম্প্রচার করার জন্য প্রবেশদ্বারের বাইরে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানোর ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়াও কোন রুটের বাস কোনদিকে পাওয়া যাবে সেই নিয়েও একটি হোর্ডিং লাগিয়েছে মেলা কর্তৃপক্ষ। গত বছরের তুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার দিকেও বেশি নজর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এইবছর মোট ৬০০ টি বইয়ের স্টল ও ২০০ টি লিটল ম্যাগাজিন স্টল রাখা হয়েছে মেলা প্রাঙ্গনে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্টলগুলি রং করার কাজ চলেছে। ২রা ফেব্রুয়ারি স্টেট ব্যাংকের অডিটোরিয়াম-এ থাকছে লেপ্চা স্টল, ৩রা ফেব্রুয়ারি মেলা প্রাঙ্গণে থাকছে শিশু দিবস উদযাপন এবং ১০ফেব্রুয়ারি থাকছে বাংলাদেশ দিবস উদযাপন। এছাড়াও শান্তিনিকেতনের কলাভবনের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গেট নং ৯-তে কলাভবনের একটি রেপ্লিকা নির্মাণ করা হয়েছে। আর থাকছে ইতিমধ্যেই হিট 'বই কিনলে লাইব্রেরি ফ্রি'-এর কনসেপ্ট।
মঙ্গলবার মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে দেখেন লালবাজারের পুলিশ কর্তারা। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যেসব জায়গা দিয়ে যাবেন সেইসব জায়গা বিশেষ করে পরিদর্শন করেন তারা। পুলিশ সূত্রের খবর, মেলার প্রতিটি অংশে নজরদারি চালানোর জন্য দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। এছাড়াও পুলিশ, পরিবহন, দমকলসহ বিভিন্ন দফতরের ইউনিফায়েড কমান্ড কন্ট্রোল রুম করা হচ্ছে। মাঠজুড়ে থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। মেলার প্রবেশপথেই থাকছে 'মে আই হেল্প ইউ ডেস্ক'। বইমেলাগামী সমস্ত বাস দাঁড়াবে করুণাময়ী বাস টার্মিনাস এবং ময়ূখ ভবনের সামনে। মাঠের ধারে গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা না থাকলেও একটি নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে পার্কিংয়ের জন্য।