আনন্দের শহরে কবিতার বৃষ্টি
বসন্ত পলাশের ছোঁয়ায় শহরে ফুটল কবিতার এক ডাল পাপড়ি।
এই নিয়ে চতুর্থ কবিতা বর্ষ উদযাপনে মাতল শহরবাসী।আয়োজক পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমি।বৃহস্পতিবার একতারা মুক্ত মঞ্চে শ্রী যোগেন চৌধুরীর হাতে সম্পন্ন হল রাজ্য কবিতা উৎসব ২০২০-র শুভ উদ্ভোদন।
চলবে আগামী ৮ই মার্চ পর্যন্ত।বরেণ্য চিত্রশিল্পী ও সাংসদ সেইদিন প্রদীপ জ্বালিয়ে সূচনা করলেন এবছরের উৎসবের।সঙ্গে ভাগ করে নিলেন কবিতা নিয়ে তাঁর ভাবনা ও যাপন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের তথ্য-সংস্কৃতি ও পর্যটন বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি ও পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির সভাপতি সুবোধ সরকার।
অনুষ্ঠান চলবে রবীন্দ্র সদন, একতারা মুক্তমঞ্চ, শিশির মঞ্চ, অবনীন্দ্র সভাঘর, বাংলা আকাদেমি, চারুকলা ও গগনেন্দ্র শিল্পপ্রদর্শশালা মিলিয়ে মোট সাতটি জায়গায়।উপস্থিত থাকবেন প্রায় ৬০০ জন কবিতাপ্রেমী।
তাঁদের কেউ কবিতা লেখেন তো কেউ আবার আবৃত্তিকার। কেউ কেউ কাব্যালোচনা ও কবিতার গানে সিদ্ধহস্ত।এঁদের সান্নিধ্যেই এবারের কবিতার হাট।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার অংশ বিশেষ আবৃত্তি করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বাচিকশিল্পীরা। কবিতা শোনাতে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমির ছাত্ররাও।
এ বছর জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পুরস্কারে ভূষিত হন বর্ষীয়ান কবি প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়।
এ ছাড়াও কবিতায় নিজ নিজ অবদানের জন্য বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানিত হলেন সমর রায়চৌধুরী, শ্রীজাত এবং বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবৃত্তিশিল্পে বিশেষ মুন্সিয়ানার জন্য সম্মানিত হলেন বর্ষীয়ান শিল্পী শুভ্রা বসু। পুরস্কৃত হলেন মেধা বন্দোপাধ্যায় ও প্রণামী বসাক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কবি ও আবৃত্তিকারদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান ইন্দ্রনীল সেন। তথ্য ও সংস্কৃতি সচিব পিয়ালী সেনগুপ্তও এ দিন সকলকে অভিবাদন জানিয়ে অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
চারিদিকে বসন্ত উৎসবের চাকচিক্য ও লঘু মনোরঞ্জন কে উপেক্ষা করে সেদিন মুক্তমঞ্চ চত্বরে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।শিল্প এভাবেই নিরন্তর ভাঙবে, আবার গড়েও উঠবে।