বয়স বাড়লে শরীরে বাসা বাঁধে নানা অসুখ। রক্তে শর্করা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে, বাত, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদয়জনিত সমস্যা, মানসিক চাপ মানুষের শরীরে থাবা বসানোর আগে একবারও ভাবে না। তাই শরীরকে বিভিন্ন রোগের থাবা থেকে মুক্ত করতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার সাথে সাথে বশ্যতা স্বীকার করতে হয় ডাক্তার ও ওষুধের কাছে।
প্রাত্যহিক জীবনের নানা সমস্যা থেকে জন্ম নেয় নানা দুশ্চিন্তা। আর সেই দুশ্চিন্তা থেকেই ধীরে ধীরে তৈরী হয় মানসিক চাপ। শরীরের সমস্ত অঙ্গ প্রতঙ্গ যেহেতু একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত তাই একটি বিপদে পড়লে সমস্যা হয় অন্য অঙ্গেও। মাথায় দুশ্চিন্তার পাহাড় জমতে জমতে তা ক্রমশ বিষন্নতার আকার নেয়। বিষন্নতা আবার জন্ম দেয় উচ্চ রক্তচাপের। প্রাত্যহিক জীবনের স্ট্রেসকেই মূলত হাই ব্লাড প্রেসারের জন্মদাতা বলে মনে করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ একবার শরীরে বাসা বেঁধে বসলে তার থেকে সম্পূর্ণ নিষ্কৃতি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ওষুধের মাধ্যমে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ওষুধ বন্ধ করলেই নিজমূর্তি দেখাতে শুরু করে এই রোগ। তাই ওষুধের পাশাপাশি জীবনযাত্রায় পরিবর্তনও সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যেস করার কথা ডাক্তাররা সমসময়ই বলে থাকেন।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে রান্না ঘরে সবসময় অধিষ্ঠান করা একটি সামগ্রী একেবারে অব্যর্থ ওষুধ হিসেবে কাজ করে তা হলো রসুন। যদি কেউ নিরামিষাশী না হয়ে থাকে তাহলে প্রতিটি এই রসুন। আর এই রসুন কিভাবে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে তা দেখার পালা। রোজ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যদি এক কোয়া করে কাঁচা রসুন খাওয়া যায় তাহলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে এই রোগ। একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, যখন রসুনের কোয়া চেবানো হয় বা ভেঙে টুকড়ো করা হয় তখন তার মধ্যে থেকে অ্যালিনেজ নামক একটি উৎসেচক নির্গত হয় যা নানাপ্রকার বিক্রিয়ার ফলে তৈরী করে অ্যালিসিন। এই অ্যালিসিনই হল উচ্চ রক্তচাপের মোক্ষম দাওয়াই। সালফার পূর্ণ এই অ্যালিসিন রক্তসংবহন তন্ত্রের স্থিতিস্থাপকতা বাড়িয়ে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।