৬ মিনিটের সিনেমা। শুটিং করতে সময় লেগেছে ১ দিন।
এ ছবি আগাগোড়াই মোবাইলে তৈরি! কিন্তু দেখে কে বলবে! দমবন্ধ হয়ে আসে দেখতে বসে। মনের মধ্যে আঁচড়ের দাগ।
টানটান স্ক্রিপ্ট। ফ্রেমে ফ্রেমে মোচড়। দেখতে দেখতে প্রশ্ন জাগে, ‘জীবন আসলে ঠিক কোথায়’। ছবির নাম ‘পিছুটান’।
ছবির গভীরে ঘুমিয়ে থাকা মনটা আঙ্গুল দেখায় ‘ভাতের থালা’র দিকে। সেটাই উত্তর।
তার জন্যই প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সেজে তুলতে হয় অনামী মেয়েটিকে। ছবিতে সে নামহীন। আয়নার দিকে ভালো করে তাকাবার অবসর তার নেই। অথচ ছবি শুরুই হয় আয়নার দৃশ্য দিয়ে। আয়না যেন জীবন, সভ্যতা। প্রতিদিন তার সঙ্গেই মুখ দেখা দেখি চলছে।
মেয়েটি নিজেকে সাজিয়ে রওনা হয়। তার পোশাক তার পেশার আন্দাজ দেয় না। ছদ্মবেশের আড়ালে চোখ পুড়িয়ে দেওয়া বাস্তব। তবু যেন অভিসার। এ অভিসার আসলে ভাতের সন্ধানে।
তার জন্য যত যুদ্ধ, যত হার, যত অসহায়তা। বদলে যায় স্নেহ, মায়া, কখনও বা মা হয়ে। স্নেহের স্পর্শের মতো হয়ে উঠে ‘পিছুটান’।
এই ছবি বানিয়েছে খড়্গপুর আইআইটির একদল ছাত্র। চিত্রনাট্য, পরিচালনা, সম্পাদনায় শাওন বাগ। ছবিতে সংলাপের ব্যবহার নামমাত্র। প্রতীকী ভাবনা এবং শব্দের ব্যবহার আলাদা প্রশংসার দাবী রাখে। প্রধান চরিত্রে অতুনুকা পাল। অন্যান্য চরিত্রে শ্রুতি চ্যাটার্জী, সাহানা দাস আলোলিকা রায় সুকান্ত সরকার। জিৎ মজুমদারের সিনেমাটোগ্রাফি। মূল গল্প এবং শব্দ যোজনে অভীক ভঞ্জ এবং সায়ন দাশগুপ্ত।
ছবিটি টেগোর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘মোবাইল মুভি’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে সম্প্রতি। তাদের আরও একটি ছবি ‘অফসাইড’ও এলজিবিটি বিভাগে সেরা ছবির সম্মান পেয়েছে।