গত বৃহস্পতিবার পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী খড়গপুর আইআইটি তে গিয়েছিলেন| সেখানকার অধিকর্তা পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী, অজয় চক্রবর্তীকে জানিয়েছিলেন তাঁদের ইচ্ছা, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিক্ষাপদ্ধতির সংরক্ষণ করবেন| এই কাজে আইআইটির শরিক হবেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিল্পী তথা গবেষক অজয় চক্রবর্তী| আইআইটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিজ্ঞান ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে তৈরী ‘সন্ধি’ প্রকল্পে গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় সঙ্গীত নিয়ে কাজ করছে প্রযুক্তিবিদ্যার বিশ্বখ্যাত এই প্রতিষ্ঠান| এবার একেবারে অজয় চক্রবর্তীর স্কুলের(শ্রুতিনন্দন) গুরু-শিষ্য পরম্পরায় যেভাবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেখানো হয়, সেই পদ্ধতি সংরক্ষণের কাজে নেমেছে তারা| বিভিন্ন রাগের প্রয়োগের মাধ্যমেই তাদের পার্থক্য স্পষ্ট হয়| তা কিভাবে শেখা হবে তার পথও খুঁজে বার করবেন আইআইটির প্রযুক্তিবিদরা| গত জানুয়ারী মাস থেকে অডিও-ভিস্যুয়াল ও লিখিতভাবে নথি সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে| খরগপুর আইআইটির অধিকর্তা পার্থপ্রতিম চক্রবর্তীর কথায় জানা যায়, তাঁরা প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় রাগ সঙ্গীতের সংরক্ষণ করবেন এবং শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ব্যকরন সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দেবার ব্যবস্থা করবেন| এই প্রসঙ্গে অজয় চক্রবর্তী উচ্ছসিত হয়ে জানিয়েছেন, তাঁর গুরু বলেছিলেন, গান গাওয়ার পাশাপাশি গান বাঁচানোর দায়িত্বও তাকে নিতে হবে| তাই তিন্নি বিগত ২০ বছর ধরে বিজ্ঞান নির্ভর সঙ্গীত শিক্ষা দান করে চলেছেন| এগুলি সংরক্ষণ না করলে এক সময় হারিয়ে যাবে|
সেই প্রয়োজন বুঝেই এ কাজে উদ্যোগী হয়েছে আইআইটি| আপাতত কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক তথা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী পল্লব দাশগুপ্তকে প্রকল্পের আহ্বায়ক করা হয়েছে| এছাড়াও আছেন কলা বিভাগের অধ্যাপক আর এক সংগীতজ্ঞ প্রিয়দর্শি পট্টনায়ক| তাঁরা আইআইটির বিভিন্ন বিভাগের বাছাই করা পড়ুয়াদের এই প্রকল্পে যুক্ত করে গবেষনার মাধ্যমে রাগসঙ্গীতের যাবতীয় শিক্ষণপদ্ধতি সংগ্রহ করবেন| এই কাজে তাদের সাহায্য করবেন অজয়বাবু|