শুধুমাত্র দেশ নয়, সারা বিশ্বজুড়ে তামাকজাত দ্রব্যের বিরুদ্ধে সচেতন করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ তথা বিভিন্ন খুচরো ব্যবসায়ীকে, যাতে তারা কোনও রকম তামাকজাতীয় দ্রব্য নিজেদের দোকানে না রাখেন। এক্ষেত্রে কর্ণাটক সরকার একটু কড়া অবস্থানই নিয়েছে, তা বোঝা গেল একটি ঘটনার মাধ্যমে। একটি ছোট চায়ের দোকানের বিক্রেতা তার দোকানে খুচরো সিগারেট বিক্রি করছিলেন। কৃষ্ণ পূজারী নামের ওই দোকানির গালে সপাটে এক চড় মেরে ২৭ হাজার টাকা ফাইন করেন বেঙ্গালুরুর স্বাস্থ্যকর্মীরা।
চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকেই বেঙ্গালুরুতে একটি টিম কাজ করা শুরু করেছে। সেখানেই গারুদা মলের কাছে ওই দোকানের সামনে থেকে তাঁরা ১১০টি পোড়া সিগারেটের টুকরো উদ্ধার করেন। তামাকজাত দ্রব্যের ওপর এভাবে নিষেধ আরোপ করায় বিপাকে পড়েছে সেখানকার ছোট ব্যবসায়ীরা। প্রায় দু'লক্ষ ছোট ব্যবসায়ীর সহমতের ভিত্তিতে পুলিশ ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তারা মামলা করেছে। তাদের দাবি, ই-সিগারেট বা বাইরের কোনও সিগারেট তারা বিক্রি করেনা এবং প্যাকেট ছাড়া সিগারেট বিক্রি করা যাবেনা এরকম কোনও আইন আগে থেকে নেই।
স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দাবি, স্থানীয় অধিবাসীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এরকম পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা। বেঙ্গালুরুতে বিগত কয়েক মাস ধরে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রি বেড়ে গিয়েছে। তাই স্বাস্থ্য আধিকারিকদের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে স্মোকিং জোনের বাইরে সিগারেট খেতে দেখলেই থাপ্পড় মারা হবে-এরকম একটা আইন আনা হবে। জনসমক্ষে সিগারেট খেলে ফাইন করবে পুলিশ। ফাইন দিতে অস্বীকার করলেই একরাত থানায় বসিয়ে রাখা হবে। পাশাপাশি কোনও পুলিশ তাঁর কর্তব্যে গাফিলতি করেন তৎক্ষণাৎ তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে।