বিয়ে করলেই মিলবে ৪ লক্ষ টাকা!

আজ এমন এক তথ্য জানাবো, হলফ করে বলতে পারি তা শুনে অবাক লাগতে বাধ্য। আরো আশ্চর্যের যে এই গোটা বিষয়টি রীতিমতো সরকার পরিকল্পিত। জানা যাক সেই বিষয়টি ঠিক কি।

বিষয়টি হলো নিমেষেই ৪ লক্ষ টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) পাবার সুলুক সন্ধান না, না, এ কোনো লটারির পুরস্কার নয়, আর না এর জন্য কোনো বাড়তি খরচের প্রয়োজন। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন শর্ত সাপেক্ষে শুধুমাত্র একটি কাজের। আর তা হলো বিয়ে অবাক লাগছে!  আর একটু সহজ করে বললে বলা যায়, যে বিয়ে করলেই পাবেন ৪লক্ষ টাকা আর এই টাকা দেবে সরকার- তবে ভারত নয়, জাপান সরকার বিয়ের শর্ত হলো, বয়স হতে হবে ৪০এর নিচে এবং পাত্র-পাত্রীর সম্মিলিত আয়ও কোনোভাবেই ৫৪লক্ষ ইয়েনের বেশি হতে পারবে না। নবদম্পতিদের নতুন জীবন শুরু করতে, উৎসাহিত করতে এবং তাদের প্রয়োজনীয় খরচ বহন করতেই নিউলি ওয়েড সাপোর্ট প্রোগ্রামএর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাই বলে সবাই বিয়ে করলেই যে এই টাকা পাবে তা নয়।

নিয়মানুযায়ী যে সব পৌরসভা জাপানের নিউলি ওয়েড সাপোর্ট প্রোগ্রামএর অন্তর্গত সে সব পৌরসভার বাসিন্দারাই পাবেন এই সরকারি অনুদান স্বরূপ উপহার। আগামী বছরের অর্থাৎ ২০২১এর এপ্রিল থেকে বিয়েতে এই আর্থিক অনুদান দেওয়ার নতুন নিয়ম শুরু হতে চলেছে। কিন্তু হঠাৎ বিয়ে দেওয়ার জন্য এই অভিনব উদ্যোগ সরকারি তরফে নেওয়ার কি কারণ?

কারণ হলো জাপানে অবিবাহিত থাকতে চাওয়া দেরিতে বিয়ে করার প্রবণতার মাত্রা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আর সেই সমীক্ষার ফলস্বরূপ দেখা গেছে জাপানে শিশু জন্মহারও অত্যন্ত কম। আর সেই সমস্যার সমাধানে জাপান সরকারের এই উদ্যোগ। আর তাতে সাড়া দিয়ে এখনো পর্যন্ত জাপানের মাত্র ২৮১টি পৌরসভা এ প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে। যদিও বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, নবদম্পতিদের সহযোগিতার অর্ধেক অর্থ বহন করে পৌরসভা; বাকিটা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ২০২১সালের এপ্রিল থেকে নবদম্পতিকে দেও অর্থের দুই-তৃতীয়াংশই বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। বিষয়টি ইতিমধ্যেই বেশ আলোড়ণ ফেলেছে। কিন্তু ব্যস্ততম এই কেজো শহুরে মানুষগুলো আদৌ কতটা এই অভিনব উদ্যোগে উৎসাহিত হয় তাই দেখার। তবে বিয়ে দিতে জাপান সরকারের ‘ম্যারেজ ব্যুরোরভূমিকা কিন্তু নিঃসন্দেহে অভিনব।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...