উষ্ণায়নের প্রভাবে গ্রীনল্যান্ডের বরফ তুলনামূলকভাবে বেশি গলছে সাম্প্রতিক কিছু বছর হল, তা আমরা জানি। এ বছর ওই অঞ্চলে গরম ও পড়েছে যথেষ্ট। ৪০ ডিগ্রী ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় বরফ ও গলেছে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। গত এক সপ্তাহ ধরে বরফ গলার প্রক্রিয়া চলছিল। মোট আয়তনের ৪০ শতাংশ বরফ গলছিল, কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ২০০ কোটি টনের একটি বিশাল চাঁই গলে যায়।
এর ফলে যথারীতি যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন পরিবেশবিদরা। যদিও জুন থেকে অগাস্টের মধ্যে বরফ গলার মরশুম হিসেবেই চিহ্নিত হয় গ্রীনল্যান্ড অঞ্চলে। গত সপ্তাহ জুড়ে ঘটে চলা তাপপ্রবাহের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ডেনমার্ক এন্ড গ্রীনল্যান্ড-এর আইস ক্লাইমেটোলজিস্ট জ্যাসন বক্স জানিয়েছেন, এই বছর বরফের গলন আগে ঘটেছে এবং স্বাভাবিকের তুলনায় পরিমানে বেশি গলেছে।
জুন মাসের ১২ তারিখের মধ্যে এত গরমের প্রভাব এর আগে ২০১২ সালে ঘটেছিল। বিশেষজ্ঞরা জানান, এখনই এত গরমের প্রভাব, এর পরে কী হবে তা পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখতে হবে। তবে তাঁরা এও বলেন, গ্রীনল্যান্ডের তাপমাত্রা যথেষ্ট পরিবর্তনশীল। পরবর্তীতে সংকটের সম্মুখীন নাও হতে পারে। আলাস্কার উত্তর উপকূলবর্তী অঞ্চলের চাকশি এবং বিউফোর্ট সমুদ্রাঞ্চলে আশ্চর্যজনকভাবে বরফ গলেছে, যা এর আগে কখনও ঘটেনি-জানান ফেয়ারব্যাঙ্কের ক্লাইমেটোলজিস্ট রিক থমান। ফলে এই দুই অঞ্চলের মধ্যে জলীয় যোগসূত্র সংঘটিত হয়েছে। তবে মেঘলা আবহাওয়া হলেই কিন্তু গরমের প্রভাব কমবে এবং বরফ গলার পরিমাণও কমে যাবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মেঘলা আবহাওয়া কিছুদিন বলবৎ থাকলেই আর আশংকার কোনো অবকাশ থাকবেনা।
তবে একথা ঠিক, এই যে উষ্ণায়নের ফলে গ্রিনল্যান্ডে প্রতি বছরই বরফ গলছে, তার পরিমান আয়ত্ত্বের মধ্যে রাখতে গেলে আমাদেরকেই সচেষ্ট হতে হবে। গাছ লাগানো, গাছ না কাটা, সর্বোপরি প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এগিয়ে আসতে হবে আমাদেরকেই। তবেই এই আশঙ্কা থেকে মুক্ত হব আমরা।
Unprecedented early #seaice loss from both Chukchi & Beaufort Seas north and west of Alaska. June 8th extent from @NSIDC is 1981-2010 median for Aug 01! Five lowest extents for this date are 2015 through 2019. #akwx #Arctic @Climatologist49 @CooperIslandAK @seaice_de @ajatnuvuk pic.twitter.com/rImqEFugH0
— Rick Thoman (@AlaskaWx) June 9, 2019
The Hornburg has been breached: the last band of high concentration #seaice northeast of Utqiaġvik is gone. There's now a continuous water connection around Alaska from the Bering to Chukchi to the Beaufort Sea. #akwx #Arctic @Climatologist49 @ajatnuvuk @CooperIslandAK @seaice_de pic.twitter.com/Het08mZfcA
— Rick Thoman (@AlaskaWx) June 10, 2019