এমবিবিএস ও আইএএস আকাঙ্ক্ষা

 

ইউপিএসসি ক্লিয়ারিং এবং পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের অংশ হিসাবে আইএএস-এ যোগদানের আগে, তিনি কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস করেন। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের এসডিও হিসাবে তাঁর প্রশাসনিক দায়িত্ব রয়েছে প্রচুর, একজন ডাক্তার হিসাবে তাঁর কর্তব্যে সামান্য ছেদ পড়লেও তিনি কিন্তু তাঁর দ্বিতীয় ভূমিকাটিও পালন করে চলেন একই সাথে। ইনি হলেন আকাঙ্খা ভাস্কর।

                     তাঁর ছুটির দিনগুলিতে নিজেকে তিনি নিয়োজিত করেন এলাকার দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসার কাজে, সময় হলেই চলে যান তিনি। ২০১৮র জুন মাস থেকে রঘুনাথপুরের মহকুমা শাসক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় তাঁর অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক ছিল ৭২। ডাক্তারি পাস করার পরে গ্রামীণ চিকিৎসক হিসাবে তাঁর পোস্টিং শেষ করে ২০১৪ সালে প্রশাসনিক চাকরিতে যোগদানের কথা ভাবেন তিনি। তিনি মনে করেন যে সেবার এই উৎসাহ তিনি তাঁর বাবা ডাঃ ভানু শঙ্কর পান্ডের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। চিকিৎসক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি, তাঁর মা বিদ্যা প্রসাদ হাসপাতালের পরিচালক এবং ছোট বোন কেজিএমইউর।

সম্প্রতি মারুয়াদিহর সান্টুরি ব্লক হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়ে সেখানকার পরিকাঠামোগুলি খতিয়ে দেখেন ও পর্যালোচনা করেন, তার সাথে কোনও কারণবশত হাসপাতালের নির্ধারিত ডাক্তারকে অনুপস্থিতি দেখে অপেক্ষারত রোগীদের কাছে যান, শোনেন তাদের একাধিক অভিযোগ। চেক আপ করেন ৪০জন রোগীর ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রও লেখেন।

               এই প্রথম যে তিনি চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করলেন এমনটা নয়। তাঁর মতে বেশিরভাগ রোগী ত্বকের অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। এই ত্বকের বেশিরভাগ অসুস্থতার কারণ হল পুকুরের দূষিত জলে স্নানের অভ্যাস। শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় এর ফলে। তিনি এ-ও জানান যে শনিবার সাধারণত কাজের চাপ তুলনামূলকভাবে কম হয়, এ কারণেই তাই ব্লক হাসপাতাল পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নেন। আর যেহেতু তাঁকে পুরুলিয়ায় পোস্ট করা হয়েছিল একজন ডাক্তার হিসাবে সেখানকার দুস্থ রোগীদের চিকিৎসা করা তাঁর দায়িত্বও বটে। এত ব্যস্ততার মাঝেও তাঁর দুই ভূমিকা সমান তালে পালন সত্যিই প্রশংসনীয়। 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...