হায়দ্রাবাদের বুকে দক্ষিণেশ্বর মন্দির।মন্দিরে সদা জাগ্রত মা ভবতারিনী। সামনে গিয়ে দাঁড়ালে বোঝার উপায় নেই ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন আপনি। বাংলায়, নাকি হায়দরাবাদে!
সেকেন্দ্রাবাদ থেকে রেল স্টেশন থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে বিবেকানন্দপূরম। সেখানেই গড়ে উঠেছে দ্বিতীয় দক্ষিণেশ্বর মন্দির।
হায়দ্রাবাদের বাঙালিদের ভীষণ আবেগের জায়গা। বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম পীঠস্থান এই মন্দির।
১৯৭৪ সালে লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের প্রাক্তন সদস্য মধুসূদন রেড্ডি হায়দ্রাবাদ কালীবাড়ি ট্রাস্টকে ২ হাজার স্কোয়ার ফিট জমি দান করেন কালী মন্দির তৈরির জন্য। স্বামী রঙ্গনাথানন্দজী মহারাজা ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। আর বহু মানুষ যুক্ত ছিলেন উদ্যোগের সঙ্গে।
কলকাতার চিৎপুর থেকে কালো কষ্টি পাথরের মূর্তি নিয়ে যাওয়া হয় হায়দ্রাবাদে। দক্ষিনেশ্বর মন্দিরের ভবতারিনীর আদলে নির্মিত হয় প্রতিমা। তান্ত্রিক মতে পুজিতা হন দেবী। এই মন্দিরের প্রথম পুরোহিত এ কে গাঙ্গুলি।
বাংলার সব উৎসব পালিত হয় এই কালী মন্দিরে। সরস্বতী পুজো, জগদ্ধাত্রীপুজো অন্নপূর্ণা পুজো, এছাড়াও অন্যান্য উৎসবে প্রচুর মানুষ আসেন এই মন্দিরে। কালীবাড়ির নিজস্ব একটি স্কুলও আছে, যেখানে বাংলা শেখানো হয়।
হায়দ্রাবাদে প্রবাসী বাঙালিদের অন্যতম মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠেছে ‘কালীবাড়ি’। বাড়ি থেকে দূরে শিকড়ের টান ফিরে পাওয়া।