Howrah Station: হাওড়া স্টেশনে নেই ১৬ নং প্ল্যাটফর্ম। কেন জানেন?

হাওড়া স্টেশন ভারতবর্ষের অন্যতম ব্যস্ততম রেল স্টেশন। প্রত্যেকদিন প্রায় ১০ লক্ষেরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করে এই স্টেশন দিয়ে। এই স্টেশনে রয়েছে দেশের মধ্যে সর্বাধিক ২৩টি প্ল্যাটফর্ম। তবে কিছু অদ্ভুত বিষয় রয়েছে এই হাওড়া ষ্টেশন জুড়ে। এখানে মোট ২৩ টি প্লাটফর্ম এর মধ্যে ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মটিই নেই। কেন এমন?

হাইলাইটস:

১। হাওড়া স্টেশনে ১৬ নং প্ল্যাটফর্ম নেই কেন?

২। স্টেশনে বড় ঘড়ির কী ইতিহাস?

৩। কোন অজানা ইতিহাস রয়েছে স্টেশনে?

ব্যস্ততম হাওড়া স্টেশনে রোজ ৪৫০ সাবার্বান এবং ১০৭ টি দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল করে। এই ট্রেন চলাচলের যে ২৩টি স্টেশন তার দুটি ভাগ রয়েছে। প্রথমটি ওল্ড কমপ্লেক্স এবং দ্বিতীয়টি নিউ কমপ্লেক্স। ওল্ড কমপ্লেক্সে রয়েছে ১ থেকে ১৫ নম্বর প্লাটফর্ম এবং নিউ কমপ্লেক্সে রয়েছে ১৭ থেকে ২৩ নম্বর প্লাটফর্ম। তবে এই দুই কমপ্লেক্সের মাঝে নেই ১৬ নম্বর প্লাটফর্মটি।

আদতে ১৬ নম্বর প্লাটফর্মের জায়গায় পণ্য পরিবহনের জন্য একটি ডেডিকেটেড লাইন রয়েছে। এই লাইনটিতে শুধুমাত্র মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। সেই কারণে এই জায়গাটিকে 'জিরো মাইল' হিসাবেও অভিহিত করা হয়।

তবে এই লাইন নিয়ে একটি ইতিহাস রয়েছে। ১৮৫৪ সালের ১৫ ই আগস্ট 'জিরো মাইল' থেকে ট্রেন পাড়ি দিয়েছিল হুগলির উদ্দেশ্যে। তবে কোন অজ্ঞাত কারণে সেই প্রথম ট্রেনটি দু'ঘণ্টা দেরীতে পৌঁছায়। অদ্ভুতভাবে একটি স্ট্রিম ইঞ্জিনকে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে মাঠঘাট পেরিয়ে ছুড়তে দেখে অবাক হয়ে যান সকলেই। অনেকে সেই ট্রেনকে নামও দিয়েছিলেন 'আগুনের রথ।' এসব বহু অজানা রটনা রটে আছে এই ১৬ নম্বর স্টেশন প্লাটফর্ম নিয়ে।

এছাড়াও হাওড়া স্টেশনের গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে স্টেশনের 'বড় ঘড়ির' সাথে। এই ঘড়ি স্টেশনের বহু ইতিহাসের সাক্ষী। ১৯২৬ সালে প্রথম এই ঘড়িটি হাওড়া স্টেশনে আনা হয়। এটির ডায়াল ৩ ফুট ৯ ইঞ্চি এবং এটি লম্বায় দেড় ফুট। প্রাথমিকভাবে এটি একটি মেকানিক্যাল ঘড়ি ছিল। এরপর ১৯৭৫ সালে ঘড়িটি ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল হয়। আর এখন রিচার্জেবল ব্যাটারি চালিত স্বয়ংক্রিয় ঘড়ি হিসাবে সেটা ব্যবহৃত হয়। হাওড়া স্টেশনে ঘড়িটি লাগানোর দায়িত্ব পেয়েছিল কলকাতার ঘড়ি ব্যবসায়ী দেবপ্রসাদ রায়ের সংস্থা রায় ব্রাদার্স কোম্পানি। যেটি আজও মানুষের কাছে এক নস্টালজিয়ার চিহ্ন।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...