কেউ চোখে দেখতে পায় না তো কেউ মূক বা কেউ বোধির। কিন্তু এরাও যে একজন দক্ষ্য শিল্পীর গুনাগুনে সমৃদ্ধ তা কজন জানেন ? সমীক্ষায় দেখা যাবে হয়ত ১০ জনের মধ্যে ১ জন জানেন তাদের প্রতিভার বিষয়। তাই এই বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষগুলির শিল্পকলা কে তুলে ধরতেই সেজে উঠছে হাওড়া কল্যাণ পল্লীর পূজা মন্ডপ। এইবছর কোনও বিখ্যাত শিল্পীর কারুকার্য নয়, এদের হস্তশিল্পের নমুনাই থাকবে এই পুজোর মূল আকর্ষণ।
জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমাদের স্টুডিও-তে উপস্থিত ছিলেন পূজা কমিটির সভাপতী স্বপন কুমার শি, সম্পাদক মৌসুমি সরকার ও শ্যামবাজারের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক সমিত সাহা। সঞ্চালক সিঞ্চিতার সাথে তাদের পুজোর বিষয় বস্তু নিয়ে জানলাম আমরাও। এইবছর ৬১ তম বর্ষে পদার্পন করল তাদের পুজো। ২০০৮ সাল থেকে থিমের পুজোয় প্রবেশ করলেও তাদের লক্ষ থাকে সমাজসেবা মূলক কাজের মধ্যে দিয়ে যাতে থিম তৈরী হয়। আর তাই তাদের এবারের থিম “সহানুভূতি নয় সমানাভূতি”।
বিখ্যাত শিল্পী নয়, এই বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষরাই তাদের শিল্পী। তৃতীয়ার দিন মেঘ শায়ন্তনী ঘোষের হাতে চক্ষুদান পর্ব দিয়ে শুরু হবে তাদের এইবছর শারদোৎসবের পথচালা। এখানেই শেষ নয় দ্বাদশীর দিন তারই হাত দিয়ে শুরু হবে বিজয়ার সিঁদুর খেলার পর্ব। পুজোর চারটি দিন সকল পল্লীবাসীদের নিয়ে থাকবে ‘মহাভোগ’-র আয়োজন।
দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রোতে উঠে নামতে হবে রবীন্দ্র সদন মেট্রো, সেখান থেকে বাসে বা শাটলে করে বিদ্যাসাগর সেতু হয়ে রাজ্য সরকারের প্রধান কার্যালয় “নবান্ন”-র নিকটে অবস্থিত এই পূজা মন্ডপ।