যন্ত্র নির্ভরতা, ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাসবাদ, উগ্র রাজনিতী, নেশাচ্ছনতা ও অধিকারের নিতিহীনতা – বর্তমানে এই ছটি জিনিস মানুষ, অবক্ষয়ের চোড়াপথে, বিসর্জন দিচ্ছে মানবতার। যা সৃষ্টির নিয়মকে কোথাও না কোথাও গিয়ে বারংবার আঘাত করছে। যার ফলে ভারসাম্য হারাচ্ছে প্রকৃতি। তাই সৃষ্টির এই অবক্ষয় কে রুখতে ও সমাজকে বার্তা প্রদান করতে সেজে উঠছে হাওড়া ইছাপুর শিবাজি সংঘ।
জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে জিয়ো বাংলা-র স্টুডিও-তে উপস্থিত ছিলেন পূজা কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক তোতোন মন্ডল ও কার্যনাবী কমিটির অন্যতম সদস্য সম্পদ কুন্ডু। সঞ্চালক সিঞ্চিতার সাথে পুজোর আড্ডা@জিয়ো বাংলায়, তাদের পুজোর বিষয়ে জেনে নিলাম অনেক অজানা কথা। এইবছর ৪৬তম বর্ষে পদার্পন করল তাদের পুজো। আর তাদের এবারের থিম “চক্রবুহের পাকচক্র”। থিম শিল্পী প্রদীপ কুমার মন্ডলের সৃজনশীলতায় ধীরে ধারে রূপ পাচ্ছে তাদের পূজা মন্ডপ। প্রতিমা রূপায়নের দায়িত্বে আছেন শিল্পী নবকুমার পাল।
পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী জগদ্বীপ ধানকারের হাতে উদ্বোধন হবে এই পুজোর, তাই তৃতীয়া বা চতূর্থী, এই দুইদিনের মধ্যে একদিন বেছে নেওয়া হয়েছে উদ্বোধনের দিন হিসাবে। অষ্টমীর দিন এক বিশেষ পোংতিভোজনের আয়োজন করা পূজা কমিটির তরফ থেকে যাতে পল্লীবাসী সহ সকল দর্শানার্থীরা মায়ের ভোগ গ্রহন করে থাকে। বিজয়া দশমীতে সকল পল্লীবাসীদের নিয়ে এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়ে যেখানে পল্লীবাসীরা প্রায় সকলেই অংশগ্রহন করে বলে জানান তারা। দ্বাদশীর দিন, রাজ্য সরকার আয়োজিত রেড রোড কার্ণিভালে অংশগ্রহন করার পর প্রতিমাকে বিসর্জন দেওয়া হয়।
দমদম বা কবি সুভাষ গামী যে কোনও মেট্রো-তে উঠে নামতে হবে রবীন্দ্র সদন, সেখান থেকে রাজ্য সরকারে প্রধান কার্যালয় ‘নবান্ন’-র পরের স্টপেজ বেলেপোল মোড়ের নিকটে এই পূজা মন্ডপ।