পরীক্ষার রুটিন সামনে এলে জীবনে শুধু বই আর বই। বই আর ঘড়ি এই রুটিনে বাধা জীবন। কিন্তু এখন বদলাচ্ছে এই চেনা ভাবনার ছক। পরীক্ষার চাপ, ভাল ফলের চাপ, কেরিয়ার গড়ার লক্ষ্য মানেই শুধু বইবন্দী জীবন নয়, পড়াশোনা হোক বরং খোলা মনে। সম্প্রতি এমন ভাবনার কথাই উঠে আসছে কৃতিদের কথায়। প্রকাশিত হয়েছে ২০২৩-এর মাধ্যমিকের ফলাফল।
হাওড়া জেলায় প্রথম হয়েছে বাগনান আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী অনুস্মিতা সাঁতরা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। রাজ্যের মধ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে অনুস্মিতা। অনুস্মিতার প্রাপ্ত নম্বর বাংলা- ৯৯, ইংরাজি- ৯৫, অঙ্ক-১০০, ইতিহাস- ৯৫, ভূগোল- ১০০, জীবন বিজ্ঞান- ৯৯ এবং ভৌত বিজ্ঞান - ৯৮।
ঘড়ি বেঁধে পড়ার রুটিন অনুস্মিতার কিন্তু ছিল না। সে জানিয়েছে নিয়মিত পড়া, প্রস্তুতি, ভাল ফলের লক্ষ্য থাকলেও পড়ার জন্য ধরা-বাঁধা ঘন্টা-মিনিটের হিসেব তার ছিল না। টেস্ট পরীক্ষার পরীক্ষার পর দিনে ১২-১৩ ঘন্টা নিয়মিত পড়াশোনা করেছে।
নাচ আর মোবাইল এই দুই তার নেশা। ভালবাসে গেম খেলতে। বাইরের পৃথিবী সম্বন্ধে তার সমান কৌতুহল। তবে মোবাইল কোনওভাবেই তার বইয়ের পাতায় মনসংযোগে বাধা হয়ে ওঠেনি।
ছোটবেলা থেকে মেধাবী ছাত্রী অনুস্মিতার সাফল্যে খুশি তার স্কুলের শিক্ষকরাও। বাগনান শহরের বাসিন্দা অনুস্মিতা পঞ্চম শ্রেণি থেকে বাগনান আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। শুরু থেকেই ক্লাসে প্রথম হয়ে আসছে, তাই ভাল ফলের আশা ছিলই।
বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হবে অনুস্মিতা। স্বপ্ন এবং লক্ষ্য চিকিৎসক হওয়ার।
অনুস্মিতা সাঁতরা ছাড়াও এবছর মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় প্রথম দশে স্থান করে নিয়েছে হাওড়া জেলার আরও তিন পরীক্ষার্থী।
হাওড়া জেলা থেকে দশম স্থান পেয়েছে জয়নগর পল্লীশ্রী বিদ্যানিকেতনের ছাত্রী নম্রতা কোলে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩।
৬৮৪ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে নবম স্থান অধিকার করেছে উলুবেড়িয়া হাই স্কুলের ছাত্র দ্বৈপায়ন মান্না।
৬৮৩ পেয়ে তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে সময়িতা দাস।