শীত ফুরিয়ে এসেছে কিন্তু ফুরিয়ে যায়নি শুষ্ক ত্বকের সমস্যা। বসন্তের হাওয়া বইতে শুরু করলে আরও বেশি টান ধরে ত্বকে, নানা রকম চর্ম রোগের সমস্যা দেখা দেয়। তাই ত্বক পরিচর্যার রুটিনে কোনও পরিবর্তন হয় না।
শীতের শুকনো মরসুমে সোরিয়াসিসের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস দেখা যায়। নাক দিয়ে জল পড়া, হাঁপানির মতো সমস্যা দেখা দেয়। ত্বক শুষ্ক, খসখসে হয়ে যাওয়ার কারণে ত্বকের সমস্যা বেশি দেখা যায়।
শীতের রুক্ষ ত্বক মসৃণ করার জন্য তেলের ব্যবহার জরুরি। বাইন হাসপাতালের ডার্মাটোলজিস্ট ডাঃ মানস সেনের মতে, পুরনো আমলে যে তেলের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি ছিল সেই নারকেল তেল এ ব্যাপারে সেরা সমাধান। নারকেল তেলের মতো ভাল ময়েশ্চারইজার আর কিছু হয় না’।
বাজারে যে সমস্ত ময়েশ্চারাইজার বাজারে পাওয়া যায় তাতে অনেক সময় কী কী উপাদান ব্যবহার হচ্ছে তা আন্দাজ করা যায় না, তাই ত্বকের ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই এই ধরনের ময়েশ্চারাইজার প্রোডাক্ট ব্যবহার করার আগে দেখে নেওয়া উচিত কী উপাদান আছে। বিশেষজ্ঞের পরিমর্শ নিয়ে ব্যবহার করা উচিত। সেদিক থেকে আমাদের ঘরোয়া নারকেলের তেলকে নিরাপদ মনে করা যায়।
শীত ও ঋতুবদলে ত্বকে চুলকানি বেশ সমস্যায় ফেলে। সেইজন্য সকলেরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত, তবে অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিসের সমস্যা যাদের আছে তাঁদের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আছে। গন্ধযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ত্বকের সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়।
ত্বককে ভাল রাখতে হলে ৩০-৩৫ বছরের পর থেকেই ত্বকের পরিচর্যায় যত্ন নেওয়া উচিত। ডায়াবেটিস, থাইরয়েডে দীর্ঘদিন ধরে ভুগলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। কোলেস্টেরেলের ওষুধ খেতে হয়, ক্রনিক রোগী যারা তাঁদেরও ত্বক শুকনো হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে। প্রতিক্ষেত্রেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ময়েশ্চারাইজার জাতীয় প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত।