কুচো-কাদা থেকে বাগদা, গলদা শীতে চিংড়ির মেলা। এখন শীত বাড়ি যাওয়ার পথে। তবে চিংড়ি এখনও বাজারে ট্রেন্ডি। বছরের এই সময়টা মাংসের থেকে মাছের প্রতি টান বাড়ে। নিত্য নতুন স্বাদ চেখে দেখতে ইচ্ছে হয়। পদ্মা পারের ভর্তা এখন মন ভোলাচ্ছে গঙ্গা পারের রসিকদেরও। আজ মিলে যাক চিংড়ি আর ভর্তা। টাটকা চিংড়ি আর শুটকি চিংড়ির রেসিপি রইল আপনাদের জন্য। দুই পদই ঝাল-ঝাল খেতে ভাল লাগে গরম ভাতের সঙ্গে। পান্তা বা বাসী ভাত দিয়েও জমে যায়।
চিংড়ি মাছ ভর্তা
উপকরণ
চিংড়ি মাছ
হলুদ বাটা
কাঁচা লঙ্কা
কালো জিরে
পেঁয়াজ
নুন
ধনেপাতা
সরষের তেল
শুকনো লঙ্কা
রসুন
প্রণালি
চিংড়ি মাছ, হলুদ বাটা, রসুন, শুকনো লঙ্কা সামান্য পেঁয়াজ কুচি তেলে ভেজে নিতে হবে। তারপর স্বাদ অনুযায়ী নুন দিয়ে শিলপাটায় বেটে নিতে হবে। মিহি হয়ে গেলে সরষের তেল, ধনেপাতা, পেঁয়াজকুচি ভালোভাবে মিশিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
চিংড়ি শুঁটকি ভর্তা
ছোট চিংড়ি শুঁটকি
কাঁচা লঙ্কা
পেঁয়াজ
ধনেপাতা
নুন
প্রণালি
শুকনো চিংড়িগুলো কড়াই গরম করে তেল ছাড়া শুকনো ভেজে তুলে নিতে হবে।
তারপর ওই কড়াইতেই কাঁচালঙ্কা ভাজতে হবে। এবারও তেল ছাড়া। লঙ্কা গরম হলে ফেটে ছিটকে আসে, তাই খুব সাবধানে দরকার হলে ঢাকা দিয়ে ভাজবেন।
খেয়লা রাখবেন যাতে পুড়ে না যায়।
এবার শিলপাটায় চিংড়ি হালকা করে বেটে নিন। একেবারে ধুলোমিহি হবে না।
তারপর পেঁয়াজ, নুন, ধনেপাতা বাকি সবকিছু। এবার ভাল করে সব একসঙ্গে মেখে নিতে হবে। ব্যস, রেডি শুটকি চিংড়ি ভর্তা। খেয়ে দেখুন গরম ভাত দিয়ে।