সারাজীবনে একটিও ওষুধের দরকার পড়ে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না বরং এমন মানুষও রয়েছেন যারা ওষুধের উপর নির্ভর করেই বেঁচে আছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত, এই ওষুধেও মেশানো হচ্ছে ভেজাল। ফলাফল জীবনদায়ী ওষুধ হয়ে উঠছে মৃত্যুর কারণ। বহু ওষুধের দোকান অজান্তেই বিক্রি করে চলেছে এই ওষুধ। আর সেই ওষুধই কিনে নিয়ে বাড়ির রোগী মানুষকে খাওয়াচ্ছি আমরা। তাতে হীতে বিপরীত হচ্ছে, ওষুধ খেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে পেশেন্ট। কিন্তু কি উপায় আমরা জাল ওষুধ চিনবো? ডাক্তার এবং ওষুধের দোকানের কর্মীদের মতে ওষুধ কেনার সময় একটু সজাগ থাকলেই এই ভেজাল ধরতে পারবেন আপনারাও। তাহলে চলুন আমরা জেনে নি কিভাবে আমরা চিনবো মৃত্যুরূপী এই ওষুধগুলিকে? ডাক্তারদের মতানুসারে, অনেকসময়ই দেখা যায় নকল ওষুধ ও আসল ওষুধের প্যাকেটের মধ্যেই রয়েছে বিশাল ফারাক। দেখা যায় নকল প্যাকেটে বদলে গেছে কিছু লেখা বা রয়েছে রঙের পরিবর্তন। পাশাপাশি রেখে দুটি প্যাকেট রেখে দেখলে চোখ এড়াবেনা এই পার্থক্যগুলো। অনেকসময়ে দেখা যায়, ওষুধের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে রয়েছে বা বর্ণহীন ক্যাপসুলে আগের থেকে গুঁড়ো ওষুধের পরিমান কমে গেছে। সেই ক্ষেত্রে অপেক্ষা না করে দোকানে ফেরত দিন সেই ওষুধ। কিছু ওষুধের প্যাকেটে থাকে ইউনিক অথেন্টিকেশন কোড। সেই কোড সম্পর্কে কোনো সন্দেহ থাকলে সেই কোড টি এসএমএস করুণ ৯৯০১০৯৯০১০ নম্বরে। সরাসরি ওষুধ ফ্যাক্টরি থেকে ওষুধ সম্পর্কে বৃত্তান্ত আপনার ফোনে চলে আসবে। অনেকসময় দেখা যায় কিছু ওষুধ খাওয়ার ফলে বিশেষ কিছু অস্বস্তির সৃষ্টি হয়। কিছুক্ষেত্রে সেটি ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হলেও হতেও পারে ওষুধটি নকল বা তাতে মেশানো রয়েছে ভেজাল। তাই ওষুধ খাওয়ার পরই শারিরীক সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।