ঘর রাখুন টিকটিকি মুক্ত

ছোটবেলা থেকেই শিশুদের নানা জিনিসের ভয় দেখিয়ে রাখেন বাবা মায়েরা। অবাধ্য শিশুদের বাগে আনতে জুজুর ভয় দেখাতেই বেশি স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন তাঁরা। আমরা সকলেই ছোটবেলায় নানা জিনিসকেই জুজু ভেবে ভয় পেতাম। তার মধ্যে রয়েছে নানান কিছু যেমন সে টিকটিকি হতে পারে কিংবা কোনো মানুষ। 'শোলে' সিনেমায় আমরা সকলেই দেখেছি সেই গ্রামের শিশুদের তাদের মায়েরা বলতেন,  'সো যা বেটা, নেহি তো গব্বর আ জায়েগা'। এরকমই নানা জিনিস নিয়ে ভয় পেতে পেতেই আমরা বড় হয়েছি। কিছু ভয় আবার আমাদের মনে এখনো বাসা বেঁধে রয়েছে। ছোটবেলায় যারা টিকটিকি দেখে ভয় পেতো তাদের বেশিরভাগ বড় হওয়ার পরেও টিকটিকি দেখে কিন্তু ভয় পায়। তাই তারা যথাসম্ভব চেষ্টা করে ঘর থেকে টিকটিকি বিদেয় করতে। কিন্তু তারাও তো ছাড়বার পাত্র নয়। এদিক সেদিক দিয়ে ঠিক ঢুকেই পড়ে ঘরে। অনেকেই নানা পদ্ধতি প্রয়োগ করেন ঘর থেকে টিকটিকি দূর করতে। চলুন আজ এমন কিছু পদ্ধতি জানা যাক যার ফলে খুব সহজেই টিকটিকি নামক প্রাণীটি ঘর থেকে দূর হবে।

টিকটিকি কে অনেকে ভয় পান অনেকে আবার ভয় পান না। টিকটিকি দেখতে নিরীহ হলেও বা ঘরের পোকামাকড় খেয়ে ঘর পরিষ্কার রাখলেও টিকটিকি যে বিষাক্ত তা কি জানা আছে? টিকটিকির লেজ যে নিজে থেকেই খসে পড়ে তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। এই খসে পড়া লেজ যে কতটা বিষাক্ত তাও আর বলার প্রয়োজন নেই। তাই ভয় যদি নাও পান তাহলেও সেফটির জন্য বাড়িতে টিকটিকির প্রবেশ আটকানো উচিৎ।

এর জন্য যেসব পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন তা হলো,

১) বাড়ির ভেন্টিলেটর দিয়েই মূলত আমদানি হয় তাদের। এই ভেন্টিলেটরে যদি কয়েক কোয়া রসুন রেখে দেওয়া যায় তাহলে এদের আনাগোনা আটকানো যাবে।

২) ঘর থেকে টিকটিকি দূর করার জন্য আরও একটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যায় তা হলো লঙ্কা গুঁড়ো। গোলমরিচ বা লঙ্কার গুঁড়ো কিছুক্ষন জলে ভিজিয়ে রাখুন। সেই জল ঘরের কোনায় কোনায় অল্প অল্প করে স্প্রে করে দিন। পরিমান বুঝে দেবেন। নাহলে নিজেদেরই ঘর ছেড়ে বাইরে গিয়ে বসে থাকতে হবে।

৩) পোকামাকড় তাড়ানোর জন্য উপকারী হলো ন্যাপথলিন। তাই ঘর থেকে টিকটিকি দূর করার জন্য ন্যাপথলিন বা ন্যাপথলিনের গুঁড়ো ঘরের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে রাখুন। ন্যাপথলিনের গন্ধে টিকটিকি পালাবে।

৪) ঘরের যেসব জায়গায় টিকটিকির উপদ্রব বেশি সেইসব জায়গায় ডিমের খোসা রেখে দিন। ডিমের খোসা থাকলে সেইসব জায়গায় টিকটিকি আসবে না।

৫) টিকটিকির উপদ্রব কমাতে ঘরের যেই জায়গায় তাদের আমদানি বেশি সেই জায়গায় ময়ূরের পালক রেখে দিলে টিকটিকি আসে না।

৬) রসুনের মতো পেঁয়াজও এই ক্ষেত্রে ভালো কাজ দেয়। তাই ঘরের মধ্যে পেঁয়াজের টুকরো রেখে দিলে টিকটিকি আসা কমে যায়।

এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে ঘর থেকে খুব সহজেই টিকটিকি দূর করা যাবে। অনেকক্ষেত্রেই আমরা দামি স্প্রে কিনে থাকি। কিন্তু হাতের কাছেই এতো উপায় থাকতে আর অন্য কিছুর কি দরকার? তাই এইসব পদ্ধতির সাহায্যে সহজেই ঘর থেকে দূর করুন টিকটিকি।   

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...